বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হলের কক্ষ ভাঙচুর: জাবির ৪ শিক্ষার্থীকে শোকজ

  •    
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:১২

চার শিক্ষার্থী হলেন বাংলা বিভাগের অলক কুমার পাল, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের হাসান আল মাসুদ, ইতিহাস বিভাগের আকাশ তালুকদার ও অর্থনীতি বিভাগের মোস্তফা ফয়সাল রাফি। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং হল ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।

ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক জব্বার হলের দুটি কক্ষে ভাঙচুরের ঘটনায় চার শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ।

হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সোহেল আহমেদ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে রোববার ওই শিক্ষার্থীদের শোকজ করা হয়। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

চার শিক্ষার্থী হলেন বাংলা বিভাগের অলক কুমার পাল, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের হাসান আল মাসুদ, ইতিহাস বিভাগের আকাশ তালুকদার ও অর্থনীতি বিভাগের মোস্তফা ফয়সাল রাফি। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং হল ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।

এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটিও করা হয়েছে। কমিটির প্রধান হিসেবে আছেন প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সোহেল আহমেদ। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, হলের সহকারী আবাসিক শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক আফাজ উদ্দীন, সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম।

শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২৯ নভেম্বর শহীদ রফিক জব্বার হলে ‘ইয়াকুব-মিশু স্মৃতি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’-এর খেলা নিয়ে ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের দলের বিরোধ সৃষ্টি হয়। আয়োজক হিসেবে ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাদের নিয়ে গেস্টরুমে বসলে সেখানেও বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে গেস্টরুম থেকে বের হয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী মসজিদের পাশের দুটি কক্ষে ভাঙচুর চালান। এ ঘটনায় চার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রাধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ দেন কক্ষ দুটিতে থাকা ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও হল ছাত্রলীগের নেতা সোহেল রানা ও আহসান আমিন ফাহিম।

সোহেল রানা বলেন, ‘ঘটনার সময় আমরা হলের মাঠে ছিলাম। ৪৭ ব্যাচের জুনিয়ররা লাঠিসোটা নিয়ে যাচ্ছে দেখে আমরা ওপরে উঠলাম। কয়েকজন শিক্ষার্থী তখন আমাদের রুম ভাঙচুর করতেছিল।

‘চাক্ষুষ প্রমাণ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আমরা চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি। আমরা চাইনি কেউ অন্যায়ভাবে শাস্তির সম্মুখীন হোক। কারণ এরা আমাদেরই ছোট ভাই। তাই যারা প্রকৃত জড়িত তাদেরকেই অভিযুক্ত করেছি। আমরা তাদের যথাযথ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। নয়তো এ রকম ঘটনা হলে বারবার ঘটবে।’

শোকজ করা চার শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

হল ছাত্রলীগের ৪৪ ব্যাচের নেতারা জানান, ‘খেলা চলাকালীন ৪৬ ও ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বাগ্‌বিতণ্ডার কারণে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে সেটা প্রায় সমাধান হয়ে গেছে। ছাত্রলীগকর্মী হলেও তদন্তে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করব।

‘তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেয়া হবে। আমরা সবাই মিলে হলে সুন্দর ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ পরিবেশ রাখতে চাই। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের ছাত্রলীগে কোনো স্থান নেই।’

হলের প্রাধ্যক্ষ সোহেল আহমেদ বলেন, ‘রুম ভাঙচুরের ঘটনায় ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী সরাসরি জড়িত চারজনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তাদের শোকজ করা হয়েছে। তারা সশরীরে উপস্থিত হয়ে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করবে।

‘এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিরপরাধ কেউ শাস্তি পাবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর