পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর মামলার প্রধান আসামি।
পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দারকে ওই ইউপিতে দলের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
রিপন ২০১৬ সালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একটি ক্লাবে হামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর মামলার প্রধান আসামি।
এজাহার থেকে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের ১৯ নভেম্বর টিকিকাটা ইউনিয়নের বাইশকুড়া বাজারের একটি ক্লাবে স্থানীয় কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রুবেল আকনকে মারধর ও ক্লাবে ভাঙচুর চালানো হয়। ওই সময় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করা হয়।
ওই ঘটনায় আহত ছাত্রলীগ নেতা আকনের বাবার করা মামলায় প্রধান আসামি রিপন। এ মামলায় রিপনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্রও দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। মামলাটির বিচার চলছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মঠবাড়িয়া পৌর মেয়র রফিক উদ্দিন ফেরদাউস বলেন, ‘টিকিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া রিপন জমাদ্দার বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর মামলার আসামি বলে জানি। কিন্তু তার নাম মনোনয়নের তালিকায় পাঠানোর সময় বিষয়টা আমার খেয়াল ছিল না। তা ছাড়া কেউ মনেও করিয়ে দেননি।’
রিপনের দাবি, ওই মামলা থেকে আদালত তাকে বাদ দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মঠবাড়িয়ার কিছু রাজনৈতিক নেতার ইন্ধনে তখন আমার নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। আমি বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসি। মামলার অভিযোগ মিথ্যা হওয়ায় আদালত আমাকে প্রথম হাজিরাতেই জামিন দিয়ে দিয়েছে। এমনকি মামলা থেকে আমার নাম বাদও দেয়া হয়েছে।’
ঘটনার সময় তিনি বরিশাল ছিলেন- করলেন এমন দাবিও। বলেন, স্থানীয় রাজনীতির কারণে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশরাফুর রহমানের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ওই মামলার আসামি হয়েছেন।
রিপন বলেন, ‘মামলার বাদী পান্না আকন আওয়ামী লীগ করেন না, বরং তিনি ওই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাৎ হোসেনের আপন ছোট ভাই। অন্যদিকে আমি ছোটকাল থেকেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের বর্তমান কমিটির সহসভাপতির দায়িত্বও পালন করছি।
‘এখন বুঝে দেখেন, আমি বঙ্গবন্ধু বা প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙতে পারি কি না।’
তবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নৌকার মনোনয়ন পাওয়া রিপন জমাদ্দারের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। লোকমুখে শুনেছি।’