নীলফামারীতে ছয় ‘জঙ্গির’ নামে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেছে র্যাব।
রোববার সকাল ১০টার দিকে মামলাটি হয়। মামলার বাদী হয়েছেন র্যাব-১৩ রংপুরের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) আব্দুল কাদের।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউপ।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সোনারায় ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামের পুটিহারী এলাকার শরিফুল ইসলাম শরিফকে।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন জঙ্গিবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার সোনারায় ইউনিয়নের তেলিপাড়া উত্তর মুশরত কুখাপাড়া এলাকার জাহিদুল ইসলাম ও তার ভাই অহিদুল ইসলাম, সংগলশী ইউনিয়নের বালাপাড়া এলাকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে সুজা, চড়াইখোলা ইউনিয়নের বন্দর চড়াইখোলা গ্রামের ওয়াহেদ আলী ও সোনারায় ভবানীমোড় এলাকার রজব আলীর ছেলে ও তেলিপাড়া জামে মসজিদের ইমাম নূর আমিন।
র্যাব-১৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, জঙ্গিবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়ার পাঁচ জেএমবি সদস্যকে নীলফামারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জেএমবির সামরিক শাখার সক্রিয় সদস্য। তারা বোমা তৈরি করেছিলেন।
তিনি জানান, প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং আর কারা জড়িত আছেন তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
ওসি আব্দুর রউপ বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ছয় জনের নামে মামলাটি করে র্যাব। এতে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ছয়জনকে আসামি হিসেবে রাখা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে তোলা হবে এবং আদালতের নির্দেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোনারায় ইউনিয়নের মাঝাপাড়া পুটিহারী এলাকায় শনিবার সকালে শরিফুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র এবং গুলি উদ্ধার করে র্যাবের বম্ব ডিজপোজাল ইউনিটের সদস্যরা।