রাজারবাগ দরবারের পির দিল্লুর রহমানসহ তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে করা মামলাসংক্রান্ত নথি পাওয়া যাচ্ছে না- এমন তথ্য জানানোর পর দ্রুত তা খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের রিট দাখিল সেকশনের সুপারিনটেনডেন্টকে রোববার বেলা ২টার মধ্যে এসব নথি আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়।
রাজারবাগ পিরের বিরুদ্ধে মামলার শুনানিকালে নথি না থাকায় সকালে আদালত ১০ মিনিটের মধ্যে নথি দাখিলের নির্দেশ দেয়। পরে রিট দাখিল সেকশনের সুপারিনটেনডেন্ট এসে আদালতকে জানান, নথি পাওয়া যাচ্ছে না।
এরপর আদালত বেলা ২টার মধ্যে নথি দাখিল করতে বলে।
আদালতে দুটি আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির ও এমাদুল হক বশির।
পির দিল্লুর রহমানসহ চারজনের বিদেশযাত্রায় গত ২ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে একটি সম্পূরক রিট আবেদন করা হয়। এতে দিল্লুরসহ শাকিরুল কবির, ফারুকুর রহমান ও মফিজুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী একরামুল আহসান কাঞ্চনের পক্ষে অ্যাডভোকেট এমাদুল হক বশির আবেদনটি করেন।
এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় ৪৯টি মামলা হওয়ার বিরুদ্ধে একরামুল আহসান কাঞ্চন নামে এক ব্যক্তি হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিকে একরামুলের বিরুদ্ধে হওয়া ৪৯ মামলার তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে রুলসহ আদেশ দেয়।
এরপর সিআইডির প্রতিবেদনে কাঞ্চনের বিরুদ্ধে পির দিল্লুরের সিন্ডিকেটের করা হয়রানিমূলক মামলার তথ্য উঠে আসে। পরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ দরবার শরিফের সব সম্পদের তথ্য খুঁজতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) পিরের জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কি না তা তদন্ত করতে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমকে (সিটিটিসি) এবং উচ্চ আদালতে রিটকারী আটজনের বিরুদ্ধে করা হয়রানিমূলক মামলার বিষয়ে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।