বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে আ.লীগের শ্রদ্ধা

  •    
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৩:৪৭

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে একজন ‘দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক’ আখ্যা দিয়ে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।

‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ হিসেবে পরিচিত উপমহাদেশের বরেণ্য রাজনৈতিক নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।

রোববার সকালে ঢাকার সুপ্রিম কোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে তার সমাধিতে এই শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের নেতারা।

১৯৬৩ সালের এই দিনে লেবাননের বৈরুতের এক হোটেলকক্ষে নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যান তিনি।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী একাধারে ছিলেন রাজনীতিক, আইনজ্ঞ, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা ও গণপরিষদের সদস্য এবং অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি শ্রমজীবীসহ অবহেলিত মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

বরেণ্য এই রাজনীতিকের ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আলাদা বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী আমৃত্যু আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন। গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের বিকাশসহ এতদাঞ্চলের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে যে অবদান রেখে গেছেন জাতি তা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। তার জীবন ও কর্ম আগামী প্রজন্মকে গণতান্ত্রিক চিন্তাচেতনা ও জনগণের সার্বিক কল্যাণে উদ্বুদ্ধ করবে।’

আব্দুল হামিদ বলেন, ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উপমহাদেশে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দেয়া বাণীতে বলেন, ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিকাশের জন্য এ অঞ্চলের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সারা জীবন কাজ করেছেন।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে একজন ‘দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক’ আখ্যা দিয়ে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘একজন প্রতিভাবান রাজনৈতিক সংগঠক হিসেবে তার দক্ষ পরিচালনায় গণমানুষের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আরও বিকশিত হয়। তার সুযোগ্য উত্তরসূরি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব পাকিস্তান সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে।’

গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও মানুষের কল্যাণে এ মহান নেতার জীবন ও আদর্শ সাহস ও প্রেরণা জোগায় বলেও উল্লেখ করেছেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘জাতি তার অবদান সব সময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।’

সোহরাওয়ার্দীর দেয়া গণতন্ত্র পঁচাত্তরের পর ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে বারবার বলি হয়েছে, নির্বাচনের কফিনে গণতন্ত্রকে বারবার লাশ বানানো হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এই গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করার আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।’

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্ম ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা বিচারক স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর কনিষ্ঠ সন্তান।

পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন সোহরাওয়ার্দী।

১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন এই রাজনীতিক। তার প্রচেষ্টায় ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়।

১৯৫২ সালের ভাষার জন্য রক্ত দিয়ে বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটে, তার নেতৃত্বেও ছিলেন সোহরাওয়ার্দী।

এ বিভাগের আরো খবর