পরিবারের অমতে ছয়মাস আগে পালিয়ে বিয়ে করেন রাজন বিশ্বাস ও শান্তনা দেবনাথ। মেয়ে পক্ষের মামলায় রাজন জেল খাটলেও জামিনে ছাড়া পান রাজন। স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসার চলছিল ঠিকঠাক। তবে হঠাৎ সেই সংসারের ছন্দপতন। এক আত্মীয়কে ‘তালই’ সম্বোধন করা নিয়ে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে হয়েছে সংঘর্ষ।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার সকাল ১০টার দিকে দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের পুরাতন কর্ণগাঁও গ্রামে।
ছেলে পক্ষের আহতরা হলেন জীতেশ বিশ্বাস, স্বপন বিশ্বাস, সাজন বিশ্বাস, দিবিন্দ বিশ্বাস, নিরঞ্জন বিশ্বাস, ধরনী বিশ্বাস, রেনু বিশ্বাস, শান্তনা বিশ্বাস, সাগর বিশ্বাস, কাজল বিশ্বাস এবং মেয়ে পক্ষের জগবন্ধু দেবনাথ, রতিন্দ্র দেবনাথ, বাবুল দেবনাথ, বিপুল দেবনাথ, বনবামালি দেবনাথ, প্রদীপ দেবনাথ, শামল দেবনাথ, কান্ত দেবনাথ, রেখা দেবনাথ, বিজয়া দেবী, রুহিনী দেবী, সুচিত্রা দেবী। আহতরা দিরাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দিরাই থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুরাতন কর্ণগাঁও গ্রামের লালমোহন বিশ্বাসের ছেলে রাজন ও শশাঙ্ক দেবনাথের মেয়ে শান্তনা পরিবারের অমতে পালিয়ে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় মেয়ের পরিবার মামলা করলে দেড়মাস হাজতবাস শেষে জামিন পান রাজন।
তবে শনিবার রাতে রাজনের ভাই সাজন বিশ্বাস মেয়ের চাচা নীরেশ দেবনাথকে তালই সম্বোধন করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জেরে রোববার সকালে দুই পরিবারের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়।
দিরাই থানার ওসি (তদন্ত) আকরাম আলী নিউজবাংলাকে বলেন, আত্মীয়তার সম্বোধন নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।