বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পন্টুনে এক্সকাভেটর, চরের মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

  •    
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৮:৪৫

স্থানীয়দের অভিযোগ, সদর উপজেলার ডালভাঙা এলাকায় ৫৫৫ নামের একটি ইটভাটায় নেয়া হচ্ছে এই মাটি। ভাটার মালিক আবু জাফর প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের আপত্তি উপেক্ষা করেই ভাঙনকবলিত এলাকা থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। এভাবে মাটি কাটায় তাদের বসতঘরসহ ফসলি জমি বড় ধরনের ভাঙন হুমকিতে পড়ছে।

নদীর তীরের কাছে পানিতে পন্টুনের ওপর এক্সকাভেটর। সেটি দিয়ে নদী থেকে মাটি তুলে রাখা হচ্ছে পন্টুনের ওপর। সেখান থেকে নৌকায় করে মাটি নেয়া হচ্ছে ইটভাটায়।

অভিনব কায়দায় নদীর চর থেকে এভাবে মাটি তোলার দৃশ্য দেখা গেছে বরগুনায়। জেলার বিষখালী নদীতীরবর্তী ভাঙনকবলিত এলাকা থেকে তোলা হচ্ছে এই মাটি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সদর উপজেলার ডালভাঙা এলাকায় ৫৫৫ নামের একটি ইটভাটায় নেয়া হচ্ছে এই মাটি। ভাটার মালিক আবু জাফর প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের আপত্তি উপেক্ষা করেই ভাঙনকবলিত এলাকা থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। এভাবে মাটি কাটায় তাদের বসতঘরসহ ফসলি জমি বড় ধরনের ভাঙন হুমকিতে পড়ছে।

বিষখালীর তীর ধরে পশ্চিম দিকে প্রায় দুই কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন স্থানে মাটি কাটায় চরে গভীর খাদ দেখা গেছে। ইটভাটায় গিয়ে দেখা যায়, বিষখালী তীর থেকে আনা মাটির বিশাল স্তূপ করে রাখা হয়েছে।

ভাটার কয়েকজন শ্রমিক জানান, মাটি কাটার জন্য চট্টগ্রাম থেকে পন্টুনটি ভাড়া করে আনা হয়েছে। সেই পন্টুনে এক্সকাভেটর বসিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি কেটে ভাটায় আনা হয়।

সরেজমিনে ওই এলাকায় গেলে দেখা যায়, ইটভাটা থেকে আধা কিলোমিটার পশ্চিম দিকে ডালভাঙা মাধ্যমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় খননযন্ত্রসহ মাটিভর্তি পন্টুনটি নোঙর করে রাখা হয়েছে।

খননযন্ত্রের চালক সুজন মিয়া অবশ্য দাবি করেন, নদীর তীর থেকে মাটি কাটা হয়নি। ওই মাটি বিভিন্ন মালিকদের কাছ থেকে কিনে কেটে আনা হয়েছে।

ওই এলাকার স্কুলশিক্ষক রেজাউল করিম অবশ্য জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে এক্সকাভেটর দিয়ে নদীর তীরের মাটি তুলছেন ভাটার লোকজন। তারা আপত্তি করলে উল্টো হুমকি দেয়া হয়েছে।

ডালভাঙা এলাকার বাসিন্দা ফরহাদ হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের এলাকা বিষখালী নদীর ভাঙনে বিলীন প্রায়। এখানে বেড়িবাঁধও নেই। এমনিতেই আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি। এ অবস্থায় তীরের মাটি কেটে নেয়া আমাদের জন্য বিপজ্জনক, কিন্তু কে শোনে কার কথা।

বরইতলা মাঝখালী এলাকার বাসিন্দা সবুজ হাওলাদার বলেন, ‘নদীতীরের মাটি তো কাটছেই, এর পাশাপাশি ভারী গাড়িতে ইট নেয়ায় আমাদের চলাচলের একমাত্র মাটির রাস্তাটিরও সর্বনাশ করা হয়েছে।

‘মাত্র কয়েক মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড বেড়িবাঁধের মাটির কাজ করেছে। মাটি শক্ত হওয়ার আগেই ভারী গাড়ি চলায় দেবে গিয়ে এখন হাঁটার উপযোগী নেই।’ভাটার মালিক আবু জাফরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ডালভাঙা এলাকার একটি পরিত্যক্ত ইটভাটার মাটি কিনেছি। ওই মাটি কেটে আনার জন্য পন্টুন ও ভেকু ভাড়া করা হয়েছে।

‘পন্টুনের মাটি নদীতীরের নয়। নদীতীর থেকে কোনো মাটি কাটা হয়নি, হবেও না।’

বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘নদীতীর থেকে মাটি কাটার কোনো নিয়ম নেই। ভাটায় যদি এখান থেকে মাটি কেটে ব্যবহার করে সেটা বিধিসম্মত নয়। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর