বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কমলাপুরে ঝুলছে থোকা থোকা কমলা

  •    
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৮:২৪

হায়দার হোসেন বলেন, ‘অনেকটা শখের বসেই কমলার চাষ শুরু করেছিলাম। এভাবে ফলন হবে ভাবিনি। এবারে কমলা যা ধরেছে সব আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের খাওয়ায়ে দেব। আগামী বছর থেকে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করব।’

কমলাপুর গ্রামে এখন হায়দার মিয়ার বাগানে ঝুলছে থোকা থোকা কমলা। সবুজ কমলায় আসা শুরু করেছে কমলা রং।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় এটিই প্রথম বাণিজ্যিক কমলার বাগান। স্থানীয়দের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে হায়দার মিয়ার কমলা চাষ।

হায়দার হোসেন জানান, ২০২০ সালে বাড়ির পাশের ৭৫ শতাংশ জায়গায় তিনি দার্জিলিং, চায়না ও নাগপুরি জাতের কমলালেবুর ৩০০ চারা লাগান। কমলা আদৌ ধরবে কি না সেই অনিশ্চয়তার মধ্যেই চারার পরিচর্যা করেছেন। তিন বছর পর কমলা ধরার কথা থাকলেও দুই বছরের মাথায় গাছে এসেছে কমলা।

তিনি বলেন, ‘অনেকটা শখের বসেই কমলার চাষ শুরু করেছিলাম। এভাবে ফলন হবে ভাবিনি। এবারে কমলা যা ধরেছে সব আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের খাওয়ায়ে দেব। আগামী বছর থেকে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করব।

‘এখন পর্যন্ত আমার এই কমলা চাষের পেছনে লাখ পাঁচেক টাকা খরচ হয়েছে। আগামী বছর আরও লাখ খানেক খরচ করব। আশা করছি সামনের বার কমলা বিক্রি করে এই খরচ তুলে ফেলতে পারব।’

নিউজবাংলার প্রতিনিধি তার বাগানে যাওয়ার পর তিনি গাছের প্রথম কমলা ছিঁড়ে দেন। খেয়ে দেখা যায়, বেশ মিষ্টি হায়দার হোসেনের বাগানের কমলা।

কমলাপুরের মজিবর রহমান সরদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কমলা ধরার কথা শুনে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই আসছেন দেখতে। এর আগে অনেকেই কমলাগাছ দেখেননি। গাছে ফল দেখে কেউ কেউ নিজেও বাগান করার ইচ্ছার কথা বলছে।’

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক অরবিন্দ কুমার রায় জানান, সাধারণত পানি জমে না এমন উঁচু জমি কমলা চাষের জন্য উপযোগী। তবে গোপালগঞ্জের জমি বেশ উঁচু। এখানে প্রথমবারের মতো কমলার চাষ হয়েছে। ফলও এসেছে ভালো। তাই ধারণা করা হচ্ছে, জেলার অন্য কৃষকরাও কমলা চাষ করতে পারবেন। কেউ এই ফলের বাগান করতে চাইলে কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর