কিশোরগঞ্জে ’ধর্ষণের চেষ্টাকালে’ নারীর শিলের আঘাতে এক ইতালি প্রবাসী নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে শহরের নীলগঞ্জ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হত্যায় অভিযুক্ত ওই নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ৪৫ বছর বয়সী আমিনুল আলম নীলগঞ্জ মোড় এলাকার মৃত আবদুস সামাদের ছেলে। তিনি দেড় মাস আগে দেশে আসেন।
আটক ২৪ বছর বয়সী ওই গৃহবধূর বাড়ি মিঠামইন উপজেলায়।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ধর্ষণচেষ্টার শিকার হওয়া নারীর স্বামী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইতালি প্রবাসী আমিনুলের একটি টিনশেড বাসা ভাড়া নিই। সেখানে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতে থাকি। বাসা ভাড়া নেয়ার কিছু দিন পর আমিনুলের স্ত্রী এসে বলে; তার ফোনে ব্যালান্স শেষ, জরুরি ফোন দিতে হবে তার স্বামীকে। এ সময় আমার স্ত্রীর নম্বর থেকে তিনি ফোন দেন আমিনুলকে। এর পর থেকেই আমিনুল প্রায়ই এই নম্বরে ফোন দিয়ে আমার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিত।’
তিনি বলেন, ‘তিন মাস পর আমিনুলের বাসা ছেড়ে দিই আমরা। এর পরও আমার স্ত্রীর নম্বরে ফোন করে বিরক্ত করে আমিনুল। দেড় মাস আগে দেশে এসে আবারও যোগাযোগের চেষ্টা করে সে।’
ওই নারীর স্বামী আরও জানান, গত শুক্রবার রাতে তিনি তার গ্রামের বাড়ি গেছেন, এ খবরটি জানতে পেরে বাসায় ঢুকে তার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন আমিনুল৷ এ সময় আত্মরক্ষার্থে মরিচ বাটার শিল দিয়ে আমিনুলের মাথায় আঘাত করেন তার স্ত্রী। পরে নিজেই থানায় গিয়ে পুলিশকে জানান তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ এসে রক্তাক্ত অবস্থায় আমিনুলকে উদ্ধার করে৷
তবে নিহতের স্ত্রী সুমা আলমের অভিযোগ, তার স্বামীকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত করে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক নিউজবাংলাকে বলেন, ’খবর পেয়ে ওই নারীর বাসা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আমিনুলকে উদ্ধার করে প্রথমে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে সেখানে যাওয়ার পথে ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।’
তিনি আরও জানান, ধর্ষণচেষ্টার সময় আমিনুল আলমকে শিল দিয়ে মাথায় আঘাতের কথা স্বীকার করেছেন ওই গৃহবধূ। তবে এ বিষয়ে মামলা হয়নি।