ঢাকার ৮০ শতাংশ এলাকায় এখনও পয়ঃবর্জ্যের নেটওয়ার্ক নেই উল্লেখ করে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান বলেন, এ সংস্থাটি ২০১৬ সাল থেকে সুয়ারেজ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে। পাঁচটি পয়ঃবর্জ্য শোধনাগার করার কার্যক্রম চলছে। ২০২৭ সালের মধ্যে ঢাকা শহরের শতভাগ এলাকা সুয়ারেজ নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে।
ঢাকা ওয়াসার চলমান কার্মকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নিয়ে শনিবার দুপুরে ঢাকা ওয়াসা কনফারেন্স সেন্টারে এসব কথা বলেন তাকসিম এ খান।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ওয়াসার পরিচালক (উন্নয়ন) আবুল কাশেম, ব্যবস্থাপক (কমার্শিয়াল) উত্তম কুমার, ওয়াসার সচিব প্রকৌশলী শারমিন হক এবং ওয়াসা কর্মকর্তা এভারেস্টজয়ী নিশাত মজুমদার।
এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার বড় শহরগুলোয় পানি সরবরাহকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে ঢাকা ওয়াসাকে ‘রোল মডেল’ হিসেবে দাবি করেন তাকসিম এ খান।
তিনি বলেন, ঢাকায় গত কয়েক বছরে মোটাদাগে পানির সমস্যা হয়নি। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকসহ (এডিবি) আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ঢাকা ওয়াসাকে দক্ষিণ এশিয়ায় পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে নিয়েছে।
সভায় নিজের দীর্ঘ বক্তব্যে তাকসিম এ খান তার সময়কালে ঢাকা ওয়াসার উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসা তার ঘুরে দাঁড়াও রোডম্যাপ থেকে বিচ্যুত হয়নি, তবে বাস্তবায়নে দেরি হচ্ছে।’
ঢাকা ওয়াসা কনফারেন্স সেন্টারে বক্তব্য রাখছেন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। ছবি: নিউজবাংলা
তাকসিম এ খান বলেন, ঢাকায় বর্তমানে পানির চাহিদা মৌসুমভেদে দৈনিক ২১০ থেকে ২৬৫ কোটি লিটার। ওয়াসার উৎপাদন সক্ষমতা ২৭০ কোটি লিটার। গত কয়েক বছরে স্থানীয়ভাবে কিছু সমস্যা ও কারিগরি সমস্যা ছাড়া পানির ঘাটতি হয়নি। বর্তমানে ৩৪ শতাংশ পানি ভূগর্ভস্থ। ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে নানা কার্যক্রম চলমান।
সম্প্রতি সমবায় অধিদপ্তরের অডিটে ঢাকা ওয়াসার কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী সমবায় সমিতির ১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে – এমন প্রশ্নের উত্তরে ওয়াসার এমডি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম চলছে। ওয়াসার প্রধান শৃঙ্খলা কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।