বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘গেমিং ল্যাপটপের জন্য খুন হয় শিশু ইয়ামিন’

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:১৭

সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান জানান, অনলাইনে টাকা উপার্জনের জন্য গেমিং ল্যাপটপ কিনতে চেয়েছিলেন আসামি রাসেল ও সিয়াম। তাই তারা প্রবাসীর ছেলে ইয়ামিনকে ২৮ নভেম্বর অপহরণ করেন। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে এদিন রাতেই বালিশচাপায় হত্যা করা হয় ইয়ামিনকে।

নরসিংদীর রায়পুরায় শিশুকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। জব্দ হয়েছে অপরহণ ও হত্যায় ব্যবহৃত স্কচটেপ, বালিশ, মোবাইল ফোন ও সিম কার্ড।

উপজেলার উত্তর বাখরনগর ও পিরিজকান্দি গ্রামে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নরসিংদী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জনান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান।

যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন উপজেলার উত্তর বাখরনগর গ্রামের সিয়াম উদ্দিন, সুজন মিয়া, কাঞ্চন মিয়া ও পিরিজকন্দি গ্রামের রাসেল মিয়া।

তাদের মধ্যে সিয়াম ও রাসেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণ ও হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার আছেন সুজন ও কাঞ্চন।

নিহত আট বছরের ইয়ামিন একই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জামাল মিয়ার ছেলে। সে বাখরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৮ নভেম্বর ছেলেকে বাড়িতে রেখে ভোটকেন্দ্রে যান ইয়ামিনের মা সামসুন্নাহার বেগম। দুপুরে বাড়ি ফেরার পর থেকে ইয়ামিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সম্ভাব্য জায়গায়গুলোতেও সন্ধান মেলেনি ইয়ামিনের।

এদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে ফোন আসে সামসুন্নাহারের কাছে। বলা হয়, ইয়ামিন তাদের কাছে আছে। মুক্তিপণ ১০ লাখ না পেলে হত্যা করা হবে তার ছেলেকে।

এত টাকা দেয়া সম্ভব না জানালে ৫ লাখ টাকায় ইয়ামিনকে ছেড়ে দিতে রাজি হয় অপহরণকারীরা।

১ নভেম্বর সকালে বিকাশে পাঠানো হয় ১ লাখ টাকা। সেই থেকে নম্বরটি বন্ধ থাকে। এদিন রাতে রায়পুরা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন ইয়ামিনের মা।

সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান। ছবি: নিউজবাংলা

দুই দিন পর ৩ ডিসেম্বর বাখরনগর গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার হয় ইয়ামিনের মরদেহ। এদিন রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বাখরনগর গ্রাম থেকে সিয়াম ও পিরিজকান্দি গ্রাম থেকে রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুজন ও কাঞ্চনকে গ্রেপ্তার করা হয় উত্তর বাখরনগর গ্রাম থেকে।

জিজ্ঞাসাবাদে যা জানায় আসামিরা

অনলাইনে টাকা উপার্জনের জন্য গেমিং ল্যাপটপ কিনতে চেয়েছিলেন আসামি রাসেল ও সিয়াম। তাই তারা প্রবাসীর ছেলে ইয়ামিনকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন।

২৮ নভেম্বর ইয়ামিনকে একা পেয়ে নিজের বাসায় নিয়ে আসেন সিয়াম। সঙ্গে ছিলেন রাসেল।

বাসায় আনার পর ইয়ামিন চিৎকার করলে তার হাত-মুখ স্কচটেপ দিয়ে আটকে দেয়া হয়। এদিন রাতে বালিশচাপায় হত্যা করা হয় তাকে। পরে মরদেহ বস্তায় ভরে গোয়ালঘরে লুকিয়ে রাখে তারা। চার দিন পর ২ নভেম্বর ধানক্ষেতে ফেলে আসে বস্তাটি।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিয়াম ও রাসেল হত্যার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। গ্রেপ্তার অন্য দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর