বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ঐক্যের ডাক রাষ্ট্রপতির

  •    
  • ৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:১৩

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই জাতি, বর্ণ, ধর্ম এবং জাতিগত বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে সবার জন্য সমান সুযোগ।’

সব ধরনের বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে বিভেদের পথ ছেড়ে হাতে হাত রেখে শান্তির পথে চলতে বিশ্বের সব প্রান্তের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শনিবার দুপুরে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের উদ্বোধনী আয়োজনে যোগ দিয়ে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বঙ্গভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন তিনি।

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ— এমন স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় শুরু হয়েছে দুই দিনের বিশ্ব শান্তি সম্মেলন।

পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের যে লড়াই, সেই বার্তাটি সবার কাছে পৌঁছাতে চায় ঢাকা।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই জাতি, বর্ণ, ধর্ম এবং জাতিগত বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে সবার জন্য সমান সুযোগ।’

বিশ্বের সব মানুষের জন্য একটি ‘সুষ্ঠু আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাও অপরিহার্য’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, আমরা সবাই একটি গ্রহে ভাগাভাগি করে বসবাস করি, যেখানে আমরা আমাদের দায়িত্বটাও ভাগ করে নিয়েছি।’

বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও ‘বিশ্ব শান্তি’ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে সংঘাতের সমাধান এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব। বিভেদের পথ ছেড়ে হাতে হাত রেখে সবাইকে শান্তির পথে একসঙ্গে চলার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

বর্তমান বিশ্ব অসংখ্য চ্যালেঞ্জ ও সংঘাতের মুখোমুখি বলে মনে করেন আবদুল হামিদ। কোভিড-১৯ মহামারির মধ্য দিয়ে সিস্টেমের দুর্বলতা সামনে এসেছে বলেও মত দেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই এবং পারস্পরিক শান্তি ও সম্প্রীতি নিশ্চিত না করি, তাহলে আমাদের শিশুদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য পৃথিবী সুরক্ষিত করতে পারব না। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবও এর মধ্যে ঝুঁকি তৈরি করেছে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী মিলিয়ে বাংলাদেশ ইতিহাসের দুটি মাইলফলকে পৌঁছেছে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ঢাকায় বিশ্ব শান্তি সম্মেলন বিশ্বের সব শান্তিকামী মানুষের জন্য একটি উপযুক্ত আয়োজন। আমরা যদি বিশ্বের কোথাও শান্তির প্রচার করতে কিছু করতে পারি, তাহলে আমরা আমাদের সেবা প্রদান করতে পেরে খুশি হব। কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই শান্তির পক্ষে আমাদের অবস্থান।’

শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা মানবজীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ বলেও মনে করেন আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি শান্তি হলো সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব এবং সংঘাতহীনতার একটি সর্বজনীন ধারণা। ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতা বা দ্বন্দ্ব থেকে মুক্তির নিশ্চয়তা দেয় শান্তি।’

৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের এই ডিসেম্বরে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করেছে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অতএব আমরা জনগণ হিসেবে সব মানুষের গভীর আকাঙ্ক্ষা হিসেবে শান্তিকে মূল্য দিতে শিখেছি।’

স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবনের দিক উঠে আসে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি শান্তির প্রবক্তা ছিলেন, তিনি একটি সংবিধান প্রবর্তন করেন, যা সব নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দেয়। আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং সংহতিকে সমর্থন দেয়।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, “বঙ্গবন্ধু শান্তিতে অবদান রেখেছিলেন বলেই তার স্বীকৃতি হিসেবে ‘শান্তির প্রতীক’ হিসেবে তাকে ১৯৭৩ সালে জুলিও-কিউরি শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে ওয়ার্ল্ড পিস কাউন্সিল।”

এর মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বিশ্ববন্ধুতে পরিণত হন বলেও মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি।

এ বিভাগের আরো খবর