চট্টগ্রাম নগরের খুলশীতে ডেমু ট্রেন, বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রেলওয়ের জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শনিবার দুপুরে তিন সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, কমিটিকে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গেটম্যানের কোনো অবহেলা থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কমিটির প্রধান করা হয়েছে রেলওয়ে পুলিশের চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল গফুরকে। এ ছাড়া রেলওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) ও চট্টগ্রামের রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তাকে (ওসি) তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে নগরের খুলশী থানার ঝাউতলা এলাকায় ডেমু ট্রেন, বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবলসহ তিনজন নিহত হন। এতে আহত হন অন্তত ছয়জন।
নিহতরা হলেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ট্রাফিক উত্তর বিভাগের কনস্টেবল মনির হোসেন। তার বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। বাকি দুজন নগরীর হামজারবাগ এলাকার সৈয়দ বাহাউদ্দিন আহমেদ ও পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র সাতরাজ উদ্দিন।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন জানান, একটি ডেমু ট্রেন ষোলশহর থেকে চট্টগ্রাম স্টেশনে যাচ্ছিল। এ সময় জাকির হোসেন রোডের ওই লেভেল ক্রসিংয়ের দুই দিকের গেট আটকানো ছিল।
তবে এর মধ্যেও একটি অটোরিকশা উল্টোপথে লাইন অতিক্রম করার চেষ্টা করে। এর পেছনে একটি বাসও লাইনের ওপর উঠে যায়। এসময় ট্রেনটি বাস ও অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সৈয়দ বাহাউদ্দিন আহমেদের মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নেয়ার পর চিকিৎসক মনিরকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাতরাজেরও মৃত্যু হয়।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, আহত ছয়জন চট্টগ্রাম মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ব্যবস্থাপক রতন কুমার চৌধুরী বলেন, ‘লাইন থেকে গাড়িগুলো সরানো হয়েছে। এই দুর্ঘটনার কারণে ট্রেন চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’