খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যু অস্বাভাবিক দাবি করে কুষ্টিয়ায় তার নিজ এলাকা বাঁশগ্রামে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার দাবি করেন।
কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামে ইউনাইটেড হাই স্কুলের সামনে শনিবার দুপুর ১২টায় এ মানববন্ধনে ছাত্র, শিক্ষকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
ইউনাইটেড হাই স্কুলের ২০০০ ব্যাচের সেলিমের সহপাঠীরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
সেলিমের সহপাঠী রূপকুমার রায় বলেন, ‘তার এ মৃত্যু আমরা স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছি না। আমাদের ধারণা, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
মানববন্ধনে যোগ দিয়ে অধ্যাপক সেলিমের বাবা শুকুর আলী তার ছেলের অবর্তমানে গভীর আর্থিক সংকটে পড়বেন বলে আশঙ্কা করেন। এ ব্যাপারে তিনি সহায়তার দাবি জানান।
গত ৩০ নভেম্বর দুপুরে কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যু হয়।
কিছু ছাত্রের কারণে এই শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে- এমন দাবি তুলে বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ র্যালি ও সমাবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্রের অপমান, অবরুদ্ধ ও মানসিক নির্যাতনে অধ্যাপক সেলিমের মৃত্যু হয়েছে।
সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত শিক্ষকরা সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন বলেও ঘোষণা দেন তারা।
এই প্রেক্ষাপটে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়েট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পর শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে হল ছেড়েছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।