বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্যাংকারদের চোখে আগামীর ব্যাংকিং

  •    
  • ৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ১১:১২

অগ্রণী ব্যাংকের এমডি ও সিইও মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখন অনেক ক্যাশলেস ব্যাংকিং করি। প্লাস্টিক কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে। ক্যাশলেস ব্যাংকিংয়ের দিকে দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছি। একসময় দেখা যাবে নগদ টাকা ব্যবহার হচ্ছে না। ক্রিপ্টোকারেন্সি, বিটকয়েন, ইথেরিয়াম এগুলোর ব্যবহার বাড়বে।’

আন্তর্জাতিক ব্যাংক দিবস আজ। এ উপলক্ষে দেশের চারটি ব্যাংকের চার শীর্ষ কর্মকর্তা তুলে ধরেছেন আগামীর ব্যাংক ভাবনা। পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রযুক্তির বিপ্লবের মধ্যে ব্যাংকিং সেবার ধরন আগামীতে কী হতে যাচ্ছে, তারা তা তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত আগামীতে কোথায় যেতে পারে, কোথায় যাওয়া উচিত, সে বিষয়েও ভাবনা তুলে ধরেছেন তারা।

পৃথিবীর ৫০০ ব্যাংকের মধ্যে যেন আমাদের ব্যাংক থাকে

ড. আহসান এইচ মনসুর, চেয়ারম্যান, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড

আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় ব্যাংকের সুযোগ-সুবিধা আগামীতে যাতে প্রত্যেক বাঙালি পরিবার পায়, সে ব্যাপারে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রত্যেক পরিবার যেন ব্যাংকিং খাতের আওতায় আসে।

আমাদের দেশে অনেক ব্যাংক থাকলেও বড় আকারের কোনো ব্যাংক নেই। বিশ্ব পরিমাপে কোনো ব্যাংক এখনও তহবিল করতে পারেনি। কারণ আমাদের চাহিদার তুলনায় ব্যাংকের সংখ্যা অনেক বেশি।

আমাদের একটি ব্যাংকের সর্বোচ্চ যে সম্পদ আছে, সেটা আপেক্ষিকভাবে অনেক কম। বহির্বিশ্বে ব্যাংকে ১৫০ বিলিয়ন ডলারের ওপর সম্পদ আছে। আমাদের একটি ব্যাংকের সর্বোচ্চ সম্পদ ১০ বিলিয়ন ডলারেরও কম।

আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদাশীল ব্যাংকের প্রয়োজন। পৃথিবীর অন্তত ৫০০টি ব্যাংকের মধ্যে যেন একটি আমাদের ব্যাংক হয়। সেই মাপের ব্যাংক আমাদের দরকার।

আহসান এইচ মনসুর

ব্যাংক খাতে গভর্নেন্সে (সুশাসন) বিশাল সমস্যা বিদ্যমান। এ সমস্যা ব্যাংক খাতের প্রবৃদ্ধিকে কমিয়ে ফেলবে। ফলে সামগ্রিক অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ বিষয়টিতে অবশ্যই নজর দিতে হবে।

টেকনোলজি বা প্রযুক্তিগতভাবে আমরা খুব বেশি এগোতে পারিনি। প্রযুক্তির খরচ অনেকটা ফিক্সড। ছোট ব্যাংকের জন্য যে খরচ, বড় ব্যাংকগুলোর জন্যেও একই খরচ করতে হয়। বিদেশি ব্যাংকগুলোর সম্পদের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে তারা এটা ভালোভাবে করতে পারে, কিন্তু আমাদের দেশের ব্যাংকের আকার ছোট, সম্পদ কম। এ জন্য এ খাতে পর্যাপ্ত ব্যয় করার সামর্থ্য ব্যাংকের নেই। ফলে প্রযুক্তিগত ব্যাংকিং প্রতিযোগিতায় আমরা পিছিয়ে পড়ব। সামনের দিনে এ ক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যাংকের বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

যে ব্যাংকগুলো ছোট, মূলধন কম, তাদের জন্য প্রযুক্তি খাতের বিশাল ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন। ফলে তারা এটা করতে পারবে না।

টেকনোলজির পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তায় জোর দিতে হবে। এখানেও ছোট ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। কারণ এটাও ব্যয়বহুল। আর আমাদের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা খুবই সীমিত। সাইবার হামলা মোকাবিলায় অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এ খাতে বিনিয়োগ করতে হবে। সাইবার হামলার বিষয়ে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। সাইবার হামলা সব দেশেই হয়। আমাদের এখানেও হয়েছে, আগামীতেও হবে। এ জন্য এসব বিষয়ে প্রস্তুতি আগে থেকে নিতে হবে।

ব্যাংক বেশি হওয়ার কারণে দক্ষ ব্যবস্থাপনার অভাব দেখা গেছে। আবার ব্যাংকে সুশাসনের ঘাটতি থাকায় দক্ষভাবে পরিচালনাও সম্ভব হয় না। আগামীতে এদিকে আরও জোর দিতে হবে।

টাকাহীন যুগের জন্য ব্যাংককে প্রস্তুত হতে হবে

মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, অগ্রণী ব্যাংক

আদিকাল থেকে ব্যাংকিং পদ্ধতি বিভিন্নভাবে বিবর্তিত হয়ে আজ এ পর্যায়ে এসেছে। আমূল পরিবর্তন আগামী কয়েক বছরের মধ্যে হয়ে যাবে।

আমাদের গতানুগতিক ব্যাংকিং সিস্টেমে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা এখনও আগের পদ্ধতিতে ব্যাংকের মূল্যায়ন করি। ব্যাংকের কয়টি শাখা, সেটা দেখে আমরা এখনও বলি কোন ব্যাংক কত বড়। যে ব্যাংকের শাখা যত বেশি, সেই ব্যাংককে তত বড় ব্যাংক হিসেবে পরিমাপ করা হয়। সামনের দিনে এমন থাকবে না। ব্যাংকের মোবাইল ওয়ালেট কত, মোবাইল ব্যাংকিং কত, ডিজিটাল প্লাটফর্ম কেমন, ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা– এসব বিষয় মূল্যায়ন করা হবে।

আমরা এখন অনেক ক্যাশলেস ব্যাংকিং করি। প্লাস্টিক কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে। ক্যাশলেস ব্যাংকিংয়ের দিকে দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছি। একসময় দেখা যাবে নগদ টাকা ব্যবহার হচ্ছে না। ক্রিপ্টোকারেন্সি, বিটকয়েন, ইথেরিয়াম এগুলোর ব্যবহার বাড়বে।

আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম হয়তো নগদ টাকার ব্যবহার করবেই না। সব ডিজিটাল হয়ে যাবে।

আমাদের এখন থেকে সেদিকে আগ্রহী হতে হবে। কারণ গ্রাহক উপস্থিত থেকে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ এখন কমে গেছে। অনেক আধুনিক যন্ত্রপাতিও আসবে। তখন মেশিন অনেক কাজ করবে, যেটা এখন মানুষকে করতে হয়। একসময় কারেন্সিও থাকবে না। তখন ব্যাংকিং পদ্ধতি অন্য রকম হবে।

মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম

সেই আমূল পরিবর্তনে নিজেদের মানিয়ে নিতে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। কারণ, ব্যাংকিং সেবা পদ্ধতি অন্য রকম হলে সেই পরিবেশে নিজেদের টিকে থাকা বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রযুক্তির সঙ্গে খাপখাইয়ে নিতে সক্ষমতার বিকল্প নেই। আমাদের হয়তো রাতারাতি সব কিছু পরিবর্তন হবে না। কিন্তু ধীরে ধীরে এসব চালু হবে।

তখন ব্যাংকের এত শাখাও থাকবে না। কারণ একটি শাখা চালাতে অনেক খরচ। সেখানে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে এসব কাজ করা যাবে। ঘরে বসে মানুষ যেমন ব্যাংকের অনেক সেবা পাচ্ছে, তেমনি ঘরে বসে ব্যাংকিং সেবাও দেয়া যাবে।

ব্যাংকিং সেবাতেও প্রযুক্তির বিস্ফোরণ দেখতে চাই

মো. এহসান খসরু, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড

স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রীয় মালিকানার চারটি আর বিশেষায়িত ব্যাংক ছিল দুটি। তখন ৭ কোটি মানুষের দেশে ছয়টি ব্যাংক পর্যাপ্ত ছিল না। ব্যাংকিং চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখন সব মিলিয়ে ৬১টি ব্যাংক হয়েছে। কিন্তু ব্যাংকের সংখ্যা বাড়লেও চাহিদা তৈরি করার তেমন উদ্যোগ ব্যাংকগুলো নিতে পারেনি।

প্রান্তিক জনগণের কাছে ব্যাংক সেভাবে যেতে পারেনি। ইনোভেটিভ ব্যাংকিং হচ্ছিল না। ফলে ব্যাংকের চাহিদা তৈরির জন্য ইনক্লুসিভ ব্যাংকিং সেবা শুরু হলো। প্রান্তিক মানুষকে ব্যাংকসেবার আওতায় আনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন প্রণোদনা দেয়া শুরু করে। এরপর থেকে কৃষি ও এসএমই ঋণ, রেমিট্যান্সে প্রণোদনা– সব সেবা ব্যাংকের মাধ্যমে দেয়া শুরু হয়।

ব্যাংকের চাহিদা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সেবা চালু হলো। এতে অধিকসংখ্যক মানুষ ব্যাংকের সুবিধাগুলো নেয়া শুরু করে। ফলে অনেক মানুষ ব্যাংক সেবার আওতায় অন্তর্ভুক্ত হলো।

ব্যাংকগুলোও নিজ উদ্যোগে সীমিত ক্ষমতায় প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংক কার্যক্রম চালু করে। কিন্তু বিশাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যাংকের সেবা পৌঁছে দেয়ার সক্ষমতা সব ব্যাংকের নেই। ফলে অনেক ধরনের সেবা চালু হলেও ইনক্লুসিভ ব্যাংকিংয়ের পরিপূর্ণতা এখনও আসেনি।

মো. এহসান খসরু

সামনের দিনে ব্যাংকিং খাতের ফিন্যানশিয়াল ইনক্লুশনের ক্ষেত্রে টেকনোলজির অবকাঠামো সরকারিভাবে আসা দরকার। কারণ একটার পর একটা ধাক্কা আসবে। করোনার পর আসছে ওমিক্রন। আগের মতো অর্থনীতিতে প্রভাব পড়লে ব্যাংকেও তার আঘাত লাগবে।

সামনের দিনে এসব মহামারি মেকাবিলার জন্য আরও প্রস্তুতি নিতে হবে। এই মুহূর্তে সব মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে। কারণ টিকা দেয়া না হলে মানুষের চলাচলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। মুভমেন্ট কমে যায়।

পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ট্যাক্সি কোম্পানি উবার, কিন্তু এটা দেখা যায় না। সবচেয়ে বড় হোটেল এয়ার বিএনবি, এটাও দেখা যায় না। এগুলো টেকনোলজির বিস্ফোরণ। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এগুলো পরিচালনা করা হয়।

সামনের দিনে ব্যাংকিং সেবাতেও এ জাতীয় টেকনোলজির বিস্ফোরণ দেখতে চাই, যে সেবা দেখা যাবে না, কিন্তু টেকনোলজির অবকাঠামোর কারণে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাবে।

এ অবকাঠামোর খরচ বহন করার সামর্থ্য সব ব্যাংকের নেই। ব্যাংকিং সিস্টেমে ইন্টিগ্রেটেড উপায়ে টেকনোলজিকে এগিয়ে নিতে হবে। কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে এটা করতে হবে।

টেকনোলজির মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষ যেন সরাসরি ব্যাংক সেবা পেতে পারে, সে ব্যবস্থা করা দরকার।

আগামী দিনে ‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের’ শাস্তি দিতে দেশে শক্তিশালী আইন হচ্ছে। ব্যাংকগুলোই ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের চিহ্নিত করবে। কিন্তু আইন যদি সাপোর্টিভ না হয়, ক্লায়েন্ট যদি রিট করে দেয়, তাহলে আর কাজ হয় না। এ জন্য আইন শক্তিশালী করা হচ্ছে।

পাশাপাশি আদালতে কোনো রিট যেন না হয়, সেদিকে দেখতে হবে। আইন যেন সরাসরি ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিপক্ষেই থাকে।

ব্যাংকিং সেবা সব মানুষের কাছে পৌঁছাবে

মো. আরফান আলী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড

আমরা লেজার বুক মার্কিং দিয়ে ব্যাংকসেবা শুরু করেছিলাম। স্বাধীনতার পর ’৯০-এর দশক পর্যন্ত এভাবেই চলে। এর পরই কিছু কিছু ব্যাংক অনলাইন লেনদেন চালু করে।

২০০০ সালের পর থেকে যে পরিবর্তন হয়েছে, সেটা লক্ষণীয়। ব্যাংকগুলোর প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। কম্পিউটার ও এমআইএস ব্যাংকিং (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) সফটওয়্যার ব্যবহার অনেক বেড়েছে। পরবর্তীকালে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন চলছে।

আমরা এখন পরিবর্তনের সময়ে অবস্থান করছি। বিশেষ করে ব্যাংকিং রেগুলেশনে যেমন অনেক পরিবর্তন আসছে, পাশাপাশি ব্যাংকিং পদ্ধতিরও অনেক পরিবর্তন আসছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো ডিজিটাইজেশনের যুগে আমরা প্রবেশ করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ স্লোগানের সঙ্গে ব্যাংকিং সেবাও পুরো ডিজিটাল করার পরিকল্পনা সব ব্যাংকেরই আছে।

ব্যাংকিং চ্যানেলে নতুন নতুন সেবা যুক্ত হচ্ছে। পারসোনাল (ব্যক্তি) ব্যাংকিংয়ে অনেক ধরনের পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে একজন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সব লেনদেন সম্পন্ন করতে পারে। এর সঙ্গে এজেন্ট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং এবং বিভিন্ন পেমেন্ট সেবাও চালু আছে। সামনে এসব সেবা আরও বাড়বে।

মো. আরফান আলী

বাংলাদেশের ব্যাংকের অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউস ও ন্যাশনাল পেমেন্ট সিস্টেমের আওতায় ব্যাংকিং সেবাকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নেয়া সম্ভব হচ্ছে।

করপোরেট বিশ্বেও গ্রাহকের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।

ভবিষ্যতে ব্যাংকিং সেবা সব মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। এখনও ৫০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ব্যাংক সেবার বাইরে আছে। তাদের কাছে প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যাংকসেবা পৌঁছাতে হবে। এটা ব্যাংক কমিউনিটির দায়।

আমাদের সরকারের ফিন্যানশিয়াল ইনক্লুশন স্ট্রাটেজি পেপারে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের মধ্যে সবার জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ২০২৪ সালের মধ্যে জনসংখ্যার বিরাট অংশকে ব্যাংক সেবার আওতায় আনতে পারব এবং নতুন নতুন সেবা দিয়ে গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে পারব।

আমাদের ব্যাংকগুলো শহরভিত্তিক ছিল, কিন্তু এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ব্যাংকের সেবা পৌঁছে গেছে। এটা আরও ছড়িয়ে দিতে হবে।

আগামী দিনের ব্যাংক খাত আরও ভালো করবে বলে আমি আশা করি। সম্পদের সমৃদ্ধি আরও ভালো হবে। ক্যারিয়ার ব্যাংকিংও ভালো হবে। ব্যাংক খাতে কাজ করার সক্ষমতা আরও বাড়বে।

এ বিভাগের আরো খবর