বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হানবে। এরপর কিছুটা দিক পরিবর্তন করে পশ্চিমবঙ্গের দিকে অগ্রসর হবে। যার প্রভাবে বাংলাদেশের ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ তার দিক সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন না ঘটালে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত ছাড়া তেমন কোনো প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই বলে শনিবার নিউজবাংলাকে জানান আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সেখানে ৮০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানতে পারে। এরপর কিছুটা দিক পরিবর্তন করে পশ্চিমবঙ্গের দিকে যেতে পারে। তারপর আরও কিছুটা দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর প্রভাবে বাংলাদেশে বৃষ্টি হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি এখন যে অবস্থায় আছে, তাতে ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ থাকবে। বাংলাদেশে এর প্রভাবে বাতাসের গতিবেগ কমে বৃষ্টি হবে। তারপরও আমরা দেখছি, যদি দিক পরিবর্তন করে তাহলে বাংলাদেশের দিকে আসতে পারে। সেটি আমরা খেয়াল রাখছি।’
ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার এবং মোংলা থেকে ৮৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে। আর মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সে সঙ্গে গভীর সমুদ্রে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ৬ ঘণ্টায়, ৬ কিলোমিটার বেগে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’। ঘূর্ণিঝড়টি বিশাখাপত্তম থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, পুরী থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।
৫ ডিসেম্বর তা পুরী উপকূলে পৌঁছাতে পারে। এর পর তা ধীরে ধীরে দুর্বল হতে পারে। তার পরই তা ক্রমে এগিয়ে আসতে পারে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায়। কিন্তু বাংলায় যখন আসবে, তখন তার শক্তি কতটা থাকবে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে বলে জানায় আলিপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোনসংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থার (ইএসসিএপি) তালিকা অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেয়া হয়েছে ‘জাওয়াদ’। নামটি প্রস্তাব করেছিল সৌদি আরব।