বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুয়েট শিক্ষক সেলিমকে হত্যা করা হয়েছে, দাবি পরিবারের  

  •    
  • ৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০৮

কুয়েট শিক্ষক সেলিমের বাবা শুকুর আলী বলেন, ‘দাফনের পর কয়েকজন ছাত্র ও শিক্ষক বলে যে ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করা ঠিক হয় নাই। ঘাপলা আছে। এরপর আমি খোঁজ-খবর নেই। তাতে মনে হয়েছে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।’    

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার বাবা শুকুর আলী ও অন্যান্য স্বজন। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামের নিজ বাড়িতে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নিউজবাংলার কাছে এ দাবি করেন তারা।

সেলিমের বাবা শুকুর আলী বলেন, ‘ওকে মেরে ফেলা হয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। ভয়ে ওর স্ত্রী কিছু বলছিলো না। এখন বলছে মেরে ফেলেছে।

'দাফনের পর কয়েকজন ছাত্র ও শিক্ষক বলে যে ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করা ঠিক হয় নাই। ঘাপলা আছে। এরপর আমি খোঁজ-খবর নেই। তাতে মনে হয়েছে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।’

গত ৩০ নভেম্বের বিকেলে অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যু হয়। এরপরই অভিযোগ ওঠে কিছু ছাত্রের লাঞ্ছনা ও অপদস্তের শিকার হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সেলিম। এ সংক্রান্ত কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন ছাত্র ক্যাম্পাসের রাস্তায় ড. সেলিম হোসেনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন। পরে তারা সেলিমকে অনুসরণ করে তড়িৎ প্রকৌশল ভবনে শিক্ষকের ব্যক্তিগত কক্ষে প্রবেশ করেন। প্রায় ৩০ মিনিট পর তারা সেখান থেকে বের হয়ে যান। পরে অধ্যাপক সেলিম সেখান থেকে বের হয়ে বাসায় ফেরেন।

ওই শিক্ষকের স্ত্রী জানান, বাসায় ফেরার পর সেলিম বাথরুমে যান। বের হতে দেরি হওয়ায় তিনি দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন যে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন সেলিম। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সেলিমের বড় ভাই ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘সেলিমের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি বলে আমার সন্দেহ। সবাই কেমন যেন লুকোচুরি করছে। ঠিকমতো তদন্ত হলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেয় তা দেখে পরবর্তীতে আমারা আইনি সহায়তা নেবো।’

এ বিভাগের আরো খবর