বর্তমান প্রজন্মের কাছে দেশীয় সংস্কৃতি পৌঁছে দিতে গোপালগঞ্জে হয়ে গেল যাত্রা উৎসব। দীর্ঘদিন পর হলেও উৎসব ঘিরে উচ্ছ্বসিত শিল্পী, দর্শক ও আয়োজকরা।
মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমি এ উৎসবের আয়োজন করে। অরণ্য অপেরার শিল্পীরা মঞ্চায়ন করেন রক্ত করবী যাত্রাপালা।
গোপালগঞ্জ শহরের লেকপাড়ের মুক্তমঞ্চে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা।যাত্রাপালা দেখতে মুক্তমঞ্চ ঘরে ভিড় করেন নানা বয়সের দর্শক। নতুন প্রজন্মের দর্শকরাও যাত্রাপালা দেখে উচ্ছ্বসিত।
বাঙালি সংস্কৃতি ধরে রাখতে এমন উৎসব আরও আয়োজনের প্রত্যাশা করেন দর্শনার্থীরা।
হারিয়ে যাওয়া যাত্রাপালা টিকিয়ে রাখতে আগামীতেও এ ধরনের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা।
গ্রামবাংলার ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি এগিয়ে আসবেন উদ্যোক্তারা, এমন প্রত্যাশা সাংস্কৃতিক কর্মীদের।
সাংস্কৃতিক কর্মী সপ্তর্ষী বিশ্বাস বলেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে পরিচিত যাত্রাপালা। আধুনিকায়নের এই যুগে হারিয়ে যেতে বসেছে সেই ঐতিহ্য। বর্তমান প্রজন্মের কাছে দেশীয় সংস্কৃতি পৌঁছে দিতে অনেক দিন পর হলেও যাত্রা উৎসবের আয়োজন হলো। এ ধরনের অনুষ্ঠান প্রায়ই হওয়া প্রয়োজন।’
দীর্ঘদিন অনুষ্ঠান না হওয়ায় কর্মহীন ছিলেন শিল্পীরা। শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে যাত্রাপালায় অংশ নিয়ে খুশি শিল্পীরা।
যাত্রাশিল্পী কল্যাণী বাগচী বলেন, ‘স্যাটেলাইট ও আধুনিকাতার যুগে জনপ্রিয়তা হারিয়ে যেতে বসেছে যাত্রাপালা। সেই সঙ্গে করোনার কারণে কোনো অনুষ্ঠান না হওয়ায় কমে যেতে থাকে যাত্রাপালার কদর। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েন যাত্রাশিল্পীরা। মেলা, অনুষ্ঠাসহ বিভিন্ন উৎসবে যাত্রাপালা হলে কর্মময় হয়ে উঠবে শিল্পীদের জীবন।’