‘আওয়ামী লীগের রাজনীতির অধিকার দিয়েছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। তার সহধর্মিণী ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না। আন্দোলন করতে হচ্ছে। এটা লজ্জার। শেখ হাসিনা যখন গ্রেপ্তার ছিলেন, তখন প্রথম খালেদা জিয়াই তার মুক্তির দাবি তুলেছিলেন।’
বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে এ কথা বলেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বরিশাল নগরীর জিলা স্কুল মাঠে শুক্রবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে এই সমাবেশ হয়, যাতে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা যোগ দেন।
সমাবেশে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বরিশালে এবার আসার সঙ্গে সঙ্গেই ধাক্কা খেয়েছি... প্রথমে শুনলাম আমাদের জায়গা দেয়া হবে না। পরে শুনলাম নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। মঞ্চ দুইবার করা হয়েছে। একবার ঈদগাহ মাঠে, তারপর রাত ১২টায় আবার তা খুলে জিলা স্কুল মাঠে। নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে। এমন অত্যাচার কোথাও দেখিনি। যারা স্বাধীন মাটিতে কথা বলতে দেয় না তারা কারা?
‘এই দেশের সরকার চোখেও দেখে না, কানেও শোনে না। জনগণের কথা এরা কানে নেয় না। কেননা তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। এরা ভোটে নির্বাচিত হতে পারবে না। এরা খুনি সরকার। বেগম খালেদা জিয়া এই সরকারের ক্ষমতায় থাকায় বড় বাধা। পুলিশি জোরো আপনারা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।’
রাজধানীসহ অন্য বিভাগীয় শহরগুলোয় এই বিভাগীয় সমাবেশ হয়েছে গত মঙ্গলবার। তবে মির্জা আব্বাস অসুস্থ থাকায় বরিশালের সমাবেশ পিছিয়ে শুক্রবার করা হয়েছে।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর।
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় এসেছে শেখ হাসিনার সরকার, কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া জনগণের ভোটে তিনবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। সেই নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর ওপর নিষ্ঠুর-নির্দয় আচরণ করছে নিশিরাতের নির্বাচিত সরকার।
‘সরকারি কর্মচারী, পুলিশ, র্যাব, আনসার বাহিনী ব্যবহার করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে বিকল করে ফেলেছে। আজ তাদের দলের মধ্যেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে। খালেদা জিয়া আবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন, তারেক জিয়া দেশে ফিরে আসবেন।’
সমাবেশ সফল করতে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে যোগ দেন। সমাবেশ ঘিরে অতিরিক্ত পুলিশ, জলকামান ও এপিসি মোতায়েন করা হয়।