বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশুদ্ধ পানির সঙ্কটে মানিকগঞ্জ পৌরবাসী

  •    
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ২০:০৭

মানিকগঞ্জ পৌরসভার বান্দুটিয়া চকপাড়ার বাসিন্দা মোবারক হোসেন বলেন, ‘তিন বছর আগে আমাগো এলাকায় পানির মেশিন বসায়। তখন ভাবছিলাম আমাগো পানির অভাব দূর হইয়া গেল। কিন্তু তা হইল না। এখন পানি পাই আর না পাই মাস শেষে তিনশ টাকা কইরা বিল ঠিকই দেওন লাগে।’

বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানির সঙ্কটে পড়েছেন মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বান্দুটিয়া, পশ্চিম বান্দুটিয়া ও চকপাড়া এলাকার বাসিন্দারা।

ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, তারা সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন পানি পান। যেটুকু পাওয়া যায় তাও নোংরা, অস্বাস্থ্যকর। পান করা তো দূরের কথা, এই পানি দিয়ে ঠিকমতো রান্না-বান্নাও করা যায় না। অথচ প্রতি মাসে পানির বিল দিতে হচ্ছে।

ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কবির হোসেন বলেন, 'বিষয়টি আমার জানা আছে। সমস্যা দূর করতে কাজ করা হচ্ছে।'

সরেজমিনে দেখা যায়-বান্দুটিয়া, পশ্চিম বান্দুটিয়া ও চকপাড়া এলাকায় সকালের দিকে বালতি ও কলসি নিয়ে পানির জন্য অপেক্ষা করেন স্থানীয়রা। সরবরাহ লাইনে অল্প অল্প করে পানি এলেও তাতে দেখা যায় প্রচুর আয়রন। তারা এই নোংরা পানিই কাপড় ও ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে বালতি ও কলসিতে ভরছেন।

বান্দুটিয়ার বাসিন্দা সাবজান বেগম বলেন, ‘পানিতে আয়রন আর ময়লা। আমরা গোসল করবারও পারি না, খাইবারও পারি না। পানির জন্যে মাইনষের বাড়ির কলে যাওন লাগে। আমাগো খুব অসুবিধা। সরকার এহন আমাগো একটা কইরা কল দিয়া দিক। অন্তত তাইলে আমরা পানি পাই।’

পশ্চিম বান্দুটিয়ার আবুল হোসেন বলেন, ‘আগে একটু ভালো ছিল। এখন এক্কেবারে খারাপ। পানি খাওয়া যায় না। খুব কষ্ট কইরা খাই। পানিতে ময়লা ভাসে।'

চকপাড়া এলাকার শারমিন আক্তার বলেন, 'আগে এক ঘণ্টা সময় দিতো। এখন কোনোদিন ১০ মিনিট আবার কোনোদিন ১৫ মিনিট পানি থাকে। অনেক সময় একটা কলস ভরতে পারি আবার কখনও এক কলসও ভরতে পারি না।

‘এই নোংরা পানি খাওয়ার ফলে আমাগো বাচ্চা-কাচ্চাদেরও অনেক অসুখ হয়। পৌরসভার উচিৎ আমাগো ভালো কল দেওয়া, যাতে আমরা নিরাপদে পানি খাইতে পারি।’

বান্দুটিয়া চকপাড়া এলাকার মোবারক হোসেন বলেন, ‘তিন বছর আগে আমাগো এলাকায় পানির মেশিন বসায়। তখন ভাবছিলাম আমাগো পানির অভাব দূর হইল। কিন্তু হয় নাই। এখন পানি পাই আর না পাই মাস শেষে তিনশ টাকা কইরা বিল ঠিকই দেওন লাগে। আমাগো তিন এলাকায় তিনশ' পরিবার এই পানির সমস্যায় ভুগতেছে।’

মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কবির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পানি সরবরাহ হওয়ার বিষয়টি আমার জানা আছে। পানির সমস্যা দূর করতে কাজ করা হচ্ছে।’

দ্রুত সময়ের মধ্যেই এলাকাবাসী বিশুদ্ধ ও পর্যাপ্ত পানি পাবে বলে জানান তিনি।

মানিকগঞ্জ পৌরসভায় পানি সরবরাহের দায়িত্বে থাকা তত্ত্বাবধায়ক লিটন মিয়ার মতামত জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর