বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজনীতিতে একমাত্র বিকল্প জাতীয় পার্টি: জি এম কাদের

  •    
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:০৫

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনেক নেতাই জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগে আর জায়গা নেই, এত নেতা-কর্মীর সংকুলান হচ্ছে না আওয়ামী লীগে।’

হতাশা থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনেক নেতাই এখন জাতীয় পার্টিতে (জাপা) যোগ দিচ্ছেন বলে দাবি করেছেন দলটির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের।

গাজীপুরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলনে শুক্রবার দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন দাবি করেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনেক নেতাই জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগে আর জায়গা নেই, এত নেতা-কর্মীর সংকুলান হচ্ছে না আওয়ামী লীগে।

‘কেউ ইচ্ছে করলেই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে পারছে না। আবার বিএনপির অবস্থা হতাশাব্যঞ্জক। বিএনপিতে চরম নেতৃত্ব সংকট চলছে। দেশের মানুষ বিএনপির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। তাই দেশপ্রেমিক ও আদর্শবান মানুষের সামনে জাতীয় পার্টি হচ্ছে একমাত্র রাজনীতির বিকল্প শক্তি।’

’স্বৈরাচার নিপাত যাক’- এমন স্লোগান এখন মানুষ দিতে পারে কি না, সম্মেলনে সে প্রশ্নও তোলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের।

তিনি বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনকালে গণতন্ত্র মুক্তি পাক বলে দেশের মানুষ স্লোগান দিতে পেরেছে। দেশের মানুষ এখন কি স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক স্লোগান দিতে পারে? এ থেকেই বোঝা যায়, দেশের মানুষ কতটা গণতন্ত্র উপভোগ করতে পারছে।’

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দেশে এখন আর সুশাসন নেই। সাংবিধানিকভাবেই দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে। সংবিধান অনুযায়ী গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব নয়। দেশের মানুষ এক বুক প্রত্যাশা নিয়ে জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। তারা আবারও জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়। ১৯৯১ সালের পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে দেশের মানুষের সঙ্গে কথা রাখেনি।

জি এম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশের মানুষের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। একসময় ব্রিটিশরা বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল। তারপর বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল পশ্চিম পাকিস্তান। কিন্তু এখন দুটি দল মানুষের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি না করলে কেউ চাকরি পায় না, ক্ষমতাসীন দল না করলে ব্যবসা করতে পারে না কেউ। দেশের মানুষ এখন বলে, এরশাদের শাসনামলে বেশি সুশাসন ভোগ করেছে। তাই আবারও তারা জাতীয় পার্টির শাসনামল ফিরে পেতে চায়।’

দেশের পরিবহন খাতে নৈরাজ্য চলছে বলেও উল্লেখ করেন জাপা চেয়ারম্যান। বলেন, দেশের পরিবহন সেক্টর কে নিয়ন্ত্রণ করছে, তা কেউ জানে না। কিছু সমিতি ও ইউনিয়ন পরিবহন সেক্টরকে জিম্মি করে রেখেছে। সরকারের কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা সাধারণ মানুষের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে পরিবহন সেক্টরের সঙ্গে আঁতাতের মাধ্যমে। তাই গণপরিবহনে নৈরাজ্য কমছে না।

প্রতিবছর দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে দাবি করে জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা বিদেশি সূত্রে জানতে পারছি টাকা পাচারের খবর। দেশের কোনো সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করছে না। আমরা সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমরা চাই জাতীয় নির্বাচনের আগেই নির্বাচনি ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেই দেশের মানুষ গণতন্ত্রের প্রকৃত স্বাদ উপভোগ করতে পারবে।’

গাজীপুর মহানগরের আহ্বায়ক এম এম নিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা, আলহাজ আব্দুস সাত্তার মিয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদেরসহ আরও অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর