গণফোরামের মোস্তফা মোহসীন মন্টুপন্থিদের জাতীয় কাউন্সিলে শুভকামনা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেন। জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে এ সম্মেলনে অংশ নিতে পারেননি তিনি।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে চিঠিতে কামাল হোসেন লিখেছেন, ‘আমি অসুস্থতার কারণে আপনাদের সামনে সশরীরে উপস্থিত হতে পারিনি। তবে আপনাদের জাতীয় কাউন্সিলের এই সমাবেশকে স্বাগত ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং আপনাদের সফলতা কামনা করছি।’
দলে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে কামাল বলেন, ‘আমি সব সময় ঐক্যের কথাই বলছি। আমি আশা করি, গণফোরামের সব নেতা-কর্মী ও সমর্থক ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাবেন।’
কামাল হোসেনের চিঠির বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন গণফোরামের একাংশের আহ্বায়ক মোস্তফা মোহসীন মন্টু। তিনি বলেন, ‘আমরা ওনার চিঠি পেয়েছি। ড. কামাল হোসেন অসুস্থতার কারণে আর দলের সভাপতি থাকতে পারছেন না। যদি কোনো প্রয়োজন হয় আমরা ওনার পরামর্শ নেব।’
গণফোরামের মন্টুপন্থিদের সম্মেলনে কামাল হোসেনের পাঠানো চিঠি। ছবি: নিউজবাংলা
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশনে শুক্রবার গণফোরামের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাঈদ।
বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা দলের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, গণফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ অনেকে।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আসুন সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলি। দেশে একটি জাতীয় সরকার কায়েম করি। সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেই দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণ হবে। আমি আশা করি গণফোরামের নেতা-কর্মীরা সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাস্তায় থাকবে।’
আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘দেশের মানুষ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। এ সরকারকে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার থেকে সরাতে হবে। জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তা হলেই দেশকে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট থেকে রক্ষা করা যাবে।’
জামায়াত ছাড়লে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য গড়তে প্রস্তুত আছেন বলে জানালেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘যত দিন বিএনপির সঙ্গে জামায়াত থাকবে, তত দিন আমি বিএনপির সঙ্গে কোনো জোটে যাব না।’
আওয়ামী লীগ সরকারকে হঠাতে একসঙ্গে আন্দোলন গড়ে তুলতে সব দলের প্রতি আহ্বান জানান কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘সরকারবিরোধী ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলুন। তা হলেই এ সরকারের পতন হবে।’
নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘দেশে এখন দুঃশাসন চলছে, বর্তমান সরকার ও মানবিক, তারা খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাচ্ছে না।’