চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় স্বামীর বিরুদ্ধ মারধরের অভিযোগ তুলেছেন জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক গিনি ইসলাম।
আহত অবস্থায় তাকে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গিনি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার গোরস্থানপাড়ার রফিকুজ্জান রফিকের স্ত্রী।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমার বাবার বাড়ির জমি বিক্রি করে ১০ লাখ টাকা দেই আমার স্বামীকে। ওই টাকা দিয়ে গোরস্থানপাড়ায় জমি কেনেন তিনি। আমার টাকা দিয়ে কেনা জমি ও তাদের বসতবাড়ি বিক্রি করে ঢাকায় চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন আমার স্বামী রফিক ও তার ভাবী নিপা খাতুন।’
গিনি অভিযোগ করেন, জমি ও ঘর বিক্রিতে বাধা দেয়ার জেরে সকালে রফিক ও নিপার সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা গিনিকে বাটাম দিয়ে পেটাতে থাকেন। তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়।
গিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে যুব মহিলা লীগের অন্যান্য সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।’
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহসানুল হক জানান, গিনির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পর্যবেক্ষণের জন্য মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে রফিকের মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।