বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আরও ঘনিষ্ঠ হবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক, আশা জাপানের

  •    
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৪:৪৩

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শুক্রবারের বিবৃতিতে বলা হয়, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ও জাপান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে সম্মত হয়েছে।

আগামী বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি ৫০ বছর পূর্ণ হবে জাপান-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের। বছরব্যাপী নানা আয়োজনে ৫ দশক পূর্তি উদযাপন করবে দুই দেশ।

এ উদযাপন দেশ দুটিকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসবে বলে মনে করছে জাপান।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহ্‌রিয়ার আলমের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির ফোনালাপে জাপানের এ মনোভাব উঠে আসে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শুক্রবারের বিবৃতিতে বলা হয়, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ও জাপান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে সম্মত হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে ক্রমাগত সম্প্রসারিত দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আলাপে ঢাকা ও টোকিও উভয় স্থানে উপযুক্ত স্মারক অনুষ্ঠান আয়োজনে সম্মত হয়।

এ উদযাপনের অংশ হিসেবে দুই দেশের কর্মকর্তারা উচ্চপর্যায়ের সফরে আসা-যাওয়া করবেন। জাপান ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর আশা করছে।

জাপানের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।

তিনি মনে করেন, ২০২২ সালে মেট্রোরেল লাইন-৬-এর উদ্বোধন ৫০তম বার্ষিকীতে একটি উপযুক্ত অনুষ্ঠান হবে।

ওই সময় জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

ফোনালাপে জাপানি রাষ্ট্রদূত আরও উল্লেখ করেন, বিশেষ জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ২০২৩ সালে এক বিলিয়ন ডলারের জাপানি এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আসবে।

প্রতিমন্ত্রী শাহ্‌রিয়ার আলম বাংলাদেশে অব্যাহত উন্নয়ন সহায়তার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশে আরও জাপানি বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেন।

শাহ্‌রিয়ার আলম বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি অব্যাহত সহায়তার জন্য জাপান সরকারের প্রশংসা করেন এবং এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের অপরিহার্যতা তুলে ধরেন।

তিনি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমারে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাজি করার জন্য প্রভাব কাজে লাগাতে জাপানের প্রতি আহ্বান জানান।

জাপানের রাষ্ট্রদূত মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে অব্যাহত সমর্থনের জন্য জাপান সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

এ বিভাগের আরো খবর