পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে রাতভর যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও মুক্ত করেছিলেন জেলার মুক্তিযোদ্ধারা।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনারা ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর। নির্বিচারে চলে হত্যা, ধর্ষণ, লুট আর অগ্নিসংযোগ। তাদের নির্যাতন প্রতিরোধ করতে সারা দেশের মতো ঠাকুরগাঁওবাসীও গড়ে তুলেছিল দুর্বার আন্দোলন।
প্রায় ৮ মাস যুদ্ধের পর ২৯ নভেম্বর পঞ্চগড় দখলের পর ঠাকুরগাঁওয়ে ঘাঁটি স্থাপন করে হানাদাররা। মুক্তিযোদ্ধাদের রুখতে ৩০ নভেম্বর বোমা মেরে তারা ভুল্লি সেতু উড়িয়ে দেয়।
হানাদারদের প্রতিহত করতে পহেলা নভেম্বর কমান্ডার মাহাবুব আলমের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ঠাকুরগাঁও দিয়ে ঢোকেন। ১ ডিসেম্বর রাতে তারা সেতুর ওপারে পৌঁছান। সেখানে রাতভর চলে যুদ্ধ। ২ ডিসেম্বর সারা দিন যুদ্ধ অব্যাহত থাকে। এরপর পাকিস্তানি সেনারা পিছু হটে। অবস্থান নেয় ঠাকুরগাঁও শহরে।
২ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড আক্রমণে পিছু হটতে বাধ্য হয় হানাদার বাহিনী। ৩ ডিসেম্বর বিজয়ের বেশে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রবেশ করেন বীর মুুক্তিযোদ্ধারা। জেলা ছেড়ে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদাররা। শত্রুমুক্ত হয় ঠাকুরগাঁও।
স্বদেশের পতাকা উড়িয়ে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে আনন্দে মেতে ওঠেন এলাকার মুক্তিকামী মানুষ।