বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কোটালীপাড়ায় মুক্তির দিন ৩ ডিসেম্বর

  •    
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৯:৩৮

হানাদারদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে সকাল ১০টার দিকে গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়াই প্রথম হানাদার মুক্ত হয়। এ দিন আনন্দের জোয়ার বয়ে যায় উপজেলাবাসীর মধ্যে।

১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয়েছিল গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া। এই দিনে কাকডাঙ্গা রাজাকার ক্যাম্প দখল করে প্রায় ৫০০ পাকহানাদারকে পরাজিত করে উপজেলাকে শত্রুমুক্ত করেছিল হেমায়েত বাহিনী।

হায়েনাদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে সকাল ১০টার দিকে গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়াই প্রথম হানাদার মুক্ত হয়। এ দিন আনন্দের জোয়ার বয়ে যায় উপজেলাবাসীর মধ্যে।

জানা যায়, এ অঞ্চলে পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা ছিল খুবই শক্ত অবস্থানে। এলাকারই সন্তান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষক হেমায়েত উদ্দিন (প্রয়াত) যুদ্ধ শুরু হলে দেশে পালিয়ে আসেন।

পাক হানাদার বাহিনীকে এ দেশ থেকে বিতাড়িত করতে ৮ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে তিনি গড়ে তোলেন হেমায়েত বাহিনী। কোটালীপড়ায় তিনি একটি ট্রেনিং ক্যাম্পও গড়ে তোলেন। যেখানে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেয়া হতো।

হেমায়েত বাহিনী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বেশ কয়েকটি সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেয়। ৭২টি গ্রুপের সমন্বয়ে গঠিত হেমায়েত বাহিনী যুদ্ধ করেছিল মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ হয় হরিণাহাটি, মাটিভাঙ্গা, বাঁশবাড়িয়া, ঝনঝনিয়া, জহরের কান্দি, কোটালীপাড়া সদরসহ বিভিন্ন স্থানে। এ ছাড়া ছোট ছোট যুদ্ধও বেশ কয়েকটি। এসব যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন বাহিনীর প্রধান হেমায়েত উদ্দিন বীরবিক্রম।

হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে ১৮ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এবং ২৪ জন আহত হন। নিহত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন কোটালীপাড়া উপজেলার গোলাম আলী, বেলায়েত, আবু তালেব, আবুল খায়ের, মোক্তার হোসেন, রতন কুমার ও মোয়াজ্জেম হোসেন। এ ছাড়া টুঙ্গীপাড়া উপজেলার বেলায়েত হোসেন, মুকসুদপুর উপজেলার আবুল বাশার, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ছাত্তার মৃধা, সেকেন্দার, নুরু বেপারী, পরিমল শীল, আগৈলঝাড়া উপজেলার তৈয়াবালী, নলসিটি উপজেলার ওসমান, মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার মকবুল হোসেন, আ. ছাত্তার এবং ঢাকার ইব্রাহিম।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন হেমায়েত বাহিনীর সদস্যরা ১৩৪টি অপারেশন পরিচালনা করেন। এর মধ্যে রামশীলের যুদ্ধ অন্যতম। যুদ্ধটি এ অঞ্চলে ঐতিহাসিক ‘রামশীলের যুদ্ধ’ বলে পরিচিত। হেমায়েত বাহিনীর প্রধান হেমায়েত উদ্দিন ঐতিহাসিক রামশীলের যুদ্ধে মারাত্মকভাবে আহত হন। মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদানের জন্য দেশ স্বাধীন হওয়ার পর হেমায়েত উদ্দিনকে ‘বীরবিক্রম’ খেতাব দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর