মুন্সিগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ একই পরিবারের চারজনের মধ্যে দুটি শিশু মারা গেছে। এরা সম্পর্কে ভাই-বোন।
বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার মোক্তারপুর এলাকার একটি ভবনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ স্বামী-স্ত্রী ও তাদের দুই ছেলে-মেয়েকে উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হলে রাতে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলো ছয় বছরের ইয়াসিন ও তিন বছরের নুহু আক্তার।
ইয়াসিনের শরীরে ৪৪ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তার ছোট বোন নুহু ৩২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘দুই শিশু মারা গেছে। ভাই ইয়াছিন মারা গেছে রাত পৌনে ৮টার দিকে আর বোন নুহু আক্তার মারা গেছে রাত সাড়ে ৯টার দিকে। মরদেহ বার্ন ইউনিট মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি মুন্সিগঞ্জ থানায় জানানো হয়েছে। দগ্ধ দম্পতির অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মোহাম্মদ কাউসার ও তার স্ত্রী শান্তা বেগম দুই সন্তানকে নিয়ে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর এলাকায় একটি বহুতল ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকেন। ওই বাসাতেই ভোর সাড়ে ৪টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
কাউসারের ভগ্নিপতি মাসুদ মিয়া বলেন, ‘কাউসার শাহ সিমেন্টের জাহাজের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করেন। আমাদের ধারণা, সিগারেটের আগুন বা মশার কয়েল থেকে আগুন ধরতে পারে।’
স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আবু ইউসুফ জানান, হাজি জয়নালের চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার ভাড়াটে কাউসারের ফ্ল্যাটের রান্না ঘরে তিতাস গ্যাসের সঞ্চালন লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। পরে রান্নাঘর ও অন্য দুটি ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে দগ্ধ হন কাউসারসহ তার পরিবারের চার সদস্য।