বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫ কোটি মানুষ’

  •    
  • ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ২২:১৭

ব্র্যাক জানিয়েছে, অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত নারীদের নিয়মিত আয় এবং কাজের সুযোগ যথাক্রমে ৬৬ ও ২৪ শতাংশ কমে গেছে। এ ছাড়া সারা দেশে দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং অর্থনৈতিক মন্দা চলার কারণে স্কুল থেকে নারী শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার ঝুঁকিও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে, যা সমাজের অন্যান্য বিষয়েও নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলেছে।

করোনাভাইরাস মহামারি চলার সময় দেশের শ্রমবাজারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনানুষ্ঠানিক খাতে যুক্ত পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষ। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে কিশোরী ও নারীদের ওপর। এর কারণ, বাংলাদেশের মোট নারী শ্রমশক্তির প্রায় ৯১ দশমিক ৮ শতাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতের কাজে নিয়োজিত।

বৃহস্পতিবার ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির (এসডিপি) আয়োজনে এক আলোচনা সভায় এমন তথ্য জানিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা।

আলোচনা সভায় তারা জানান, করোনা মহামারি চলার সময় দেশের অনানুষ্ঠানিক খাতে জড়িত প্রায় ৫ কোটি ২০ লাখ মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে।

গত বছর ব্র্যাকেরই এক গবেষণায় দেখা গেছে, অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত নারীদের নিয়মিত আয় এবং কাজের সুযোগ যথাক্রমে ৬৬ ও ২৪ শতাংশ কমে গেছে। এ ছাড়া সারা দেশে দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং অর্থনৈতিক মন্দা চলার কারণে স্কুল থেকে নারী শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার ঝুঁকিও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে, যা সমাজের অন্যান্য বিষয়েও নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলেছে।

আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাল্যবিবাহের হার ২২০ শতাংশ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা ওই সময়ে কর্মসংস্থান এবং শিক্ষা থেকে নারীদের ছিটকে পড়াকে এর প্রধান প্রভাবক হিসেবে দায়ী করেন।

সভায় এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কেএম তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার বেশ কিছু শিল্পক্ষেত্র তৈরি করছে, যেখানে নারীরাও কাজ করবে। এত বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বাংলাদেশে ১ কোটি ৮০ লাখেরও বেশি নারী কর্মরত। কোভিডের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব ঘটলে এদের বিপর্যয়ের কথাও ভাবতে হবে। কীভাবে তাদের সংকট সামাল দেয়া যাবে, এ নিয়ে আগাম প্রস্তুতি থাকাও দরকার।’

সমাপনী বক্তব্যে ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক কেএএম মোর্শেদ বলেন, ‘সময়ের প্রয়োজনে দক্ষতা উন্নয়ন একটি পরিকল্পিত পছন্দ হওয়া উচিত। ঐতিহ্যগত শিক্ষার পরিবর্তে অনেকে দক্ষতা উন্নয়নের শিক্ষাকে বেছে নিতে পারেন।’ অনুষ্ঠানে কিশোরী এবং নারীদের বর্তমান অবস্থা এবং সমাধান হিসেবে অনানুষ্ঠানিক সেক্টরে শিক্ষানবিশভিত্তিক প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি অ্যান্ড প্রিভেনটিং ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন ইনিশিয়েটিভ কর্মসূচির পরিচালক নবনিতা চৌধুরী।

এ বিভাগের আরো খবর