নীলফামারীর জলঢাকায় এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে না পেলে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। জলঢাকার পাঠানপাড়া এমইউ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমীন আজাদকে ওই হুমকি দেয়া হয়েছে।
অধ্যক্ষ রুহুল আমীন আজাদ বৃহস্পতিবার নীলফামারী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন।
অধ্যক্ষ বলেন, ‘২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় আমার মোবাইল ফোনে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। একইসঙ্গে হুমকি দিয়ে বলে-চাঁদা না দিলে দাফনের কাপড় কিনে রাখিস। তোর রক্ত কুকুর-শেয়ালে খাবে।‘বিষয়টি নিয়ে আমার ছেলে আশিক ইলাহি আইনি সহায়তার জন্য মীরগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গেলে সেখান থেকে পাঠানো হয় জলঢাকা থানায়। সেখানে গিয়ে এজাহার দিলে পুলিশ কর্মকর্তা ৫৩ ঘণ্টা পর তা সাধারণ ডায়েরি হিসেবে গ্রহণ করেন।’ তিনি বলেন, ‘জানা গেছে যিনি ফোন করে টাকা চেয়েছেন, তিনি মীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ২৮ নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী হুকুম আলীর ভাই আনিসুর রহমান। তিনি অন্যজনের ফোন থেকে আমাকে হুমকি দেন।’
সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক ও অধ্যক্ষের ছেলে আশিক ইলাহি উপস্থিত ছিলেন। আশিক ইলাহি বলেন, ‘আইনি সহায়তার জন্য মীরগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এবং জলঢাকা থানায় এজাহারের কপি পাঁচবার পরিবর্তন করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।’
অধ্যক্ষ বলেন, ‘প্রতিদিনই আমাকে মাদ্রাসায় যেতে হয়, কখন কে মেরে ফেলবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আমার দুই ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িতকে গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হোক।’ যে মোবাইল নম্বর থেকে টাকা চাওয়া হয়েছে, সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। ঘটনার বিষয়ে জানতে হুকুম আলীর মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির জানান, বাদীপক্ষ যে কল রেকর্ড দিয়েছে, সেখানে চাঁদার কোনো বিষয় ছিল না। অন্যজনের নাম্বার থেকে ফোন করা হয়। এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি নেয়া হয়েছে।
ওসি ফিরোজ জানান, এ বিষয়ে তদন্তের জন্য মীরগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।