বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাহাড়ে ঘাঁটি গাড়ছে মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদী শক্তি: মেনন

  •    
  • ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:২২

মেনন বলেন, ‘বান্দরবানের থানচির কাছে একটি অঞ্চলে দাওয়াতি ইসলাম ২০০৬ সাল থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিল আটজনকে নিয়ে। সেখানে আর এই সশস্ত্র সংগঠন ১০৬ জনে কার্যক্রম চালায়। আমি আশা করি, সরকার নিশ্চয় এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।’

পাহাড়ে মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদী শক্তি ঘাঁটি গাড়ছে বলে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

বৃহস্পতিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির দুই যুগ পূর্তিতে রাজধানীর আগারগাওঁয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে এক আলোচনায় তিনি এই সতর্কতা করেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের যৌথ আয়োজনে এই আলোচনায় মেনন বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে আজকে দেশের জন্য আর একটি বিপদ অপেক্ষা করছে। সেটা হলো মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদী শক্তি। পার্বত্য চট্টগ্রামে যারা বাঙালিদের মধ্যে যারা সেটেলার হয়েছেন তাদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তারা নতুন সংগঠন গড়ে তুলেছে ‘উপজাতি মুসলিম নাগরিক পরিষদ’ নামে।”

তিনি বলেন, ‘বান্দরবানের থানচির কাছে একটি অঞ্চলে দাওয়াতি ইসলাম ২০০৬ সাল থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিল আটজনকে নিয়ে। সেখানে আর এই সশস্ত্র সংগঠন ১০৬ জনে কার্যক্রম চালায়। আমি আশা করি, সরকার নিশ্চয় এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।’

তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজনৈতিক সমাধানই যদি উপলক্ষ্য হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই সামরিক সমাধান থেকে দূরে থাকতে হবে। চুক্তির ধারাগুলোকে বাস্তবায়ন করতে হবে।’

মেনন বলেন, ‘২৪ বছর পর চুক্তি নিয়ে যে আনন্দ উচ্ছ্বাস থাকার কথা ছিল, তা আজ নেই বলে আমার মনে হয়।’

তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কারও পেয়েছিলেন। কিন্তু আজ হয়তো সামরিক বন্দুকের জায়গায় অন্য কৌশল নেয়া হয়েছে। এই করোনার সময়েও অন্তত ২০টি ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’

কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, ‘জনসংহতি সমিতির যে বক্তব্য আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেখানে যতটা না ক্ষোভ তার চেয়ে আছে বেদনা ও হতাশা। এটার জন্য নিশ্চয় জনসংহতি সমিতি নয়, সরকারি পক্ষ যারা চুক্তি বাস্তবায়ন করছেন না, তারাই দায়ী। এটার জন্য তাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে।’

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রংয়ের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এবং বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) এবং ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য।

এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশনের কো-চেয়ার সুলতানা কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মেসবাহ কামাল ও সাদেকা হালিম, আইনজীবী সারা হোসেন এবং বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা কাজল দেবনাথও এতে বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর