গাজীপুরের টঙ্গী থেকে অপহৃত পাঁচ মাসের এক শিশুকে ১০ দিন পর ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জোছনা আক্তার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জোছনাকে গাজীপুর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
টঙ্গী পূর্ব থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) হাসিবুল আলম।
তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার মালিগ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। ওই সময় জোছনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জোছনা ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার চণ্ডীদাসদী সোনাখোলা গ্রামের বাসিন্দা। উদ্ধার করা শিশু আয়েশা সিদ্দিকা গাজীপুরের টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর বেলতলা এলাকার পান্না আক্তার-আবুল কাশেম দম্পতির মেয়ে।
পুলিশ কর্মকর্তা হাসিবুল জানান, বিয়ে বিচ্ছেদের পর পাঁচ মাসের শিশু আয়েশাকে নিয়ে টঙ্গীর বেলতলা এলাকায় থাকেন পান্না আক্তার। ১৯ নভেম্বর জোছনা আক্তার ননদ পরিচয়ে শিশুটিকে দেখতে এসে দুদিন পান্নার বাসায় থাকেন। ২১ নভেম্বর সকালে শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে শিশুটিকে না পেয়ে ২৪ নভেম্বর টঙ্গী পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন পান্না।
হাসিবুল বলেন, জিডির সূত্র ধরে বাসার আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণে জড়িত বলে জোছনাকে শনাক্ত করে পুলিশ। বুধবার পুলিশের একটি দল ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার মালিগ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। সেখান থেকে অপহৃত শিশু আয়েশাকেও উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জোছনা শিশুটিকে অপহরণের কথা স্বীকার করেছেন। জোছনা জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় তার শিশু মারা যায়। এ ঘটনা পরিবারের কাউকে জানাননি তিনি। শিশুটিকে অপহরণ করে গ্রামে নিয়ে নিজের সন্তান বলে পরিচয় দেন জোছনা।
এ ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না জানতে তাকে রিমান্ডে নেয়া হবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা হাসিবুল।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাসুদ বলেন, অপহরণের অভিযোগে জোছনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতে নিলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।