বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অনেকেই এখন টিকা নিতে আসে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  •    
  • ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:৪১

৬০ ঊর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে করোনার তৃতীয় ডোজ দেয়ার পরিকল্পনা বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটা নিয়ে ট্রেনিং করতে হবে। এটা করতে যতটুকু সময় লাগে, তারপরে আমরা মূল কার্যক্রম শুরু করব।’

টিকার জন্য নিবন্ধন করার পর দীর্ঘ সময়েও এসএমএস না পাওয়ার বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে একের পর এক পোস্টের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক তুললেন টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ কম থাকার প্রসঙ্গ।

তিনি বলেন, ‘টিকা আমাদের বড় হাতিয়ার। অনেকেই এখন টিকা নিতে আসে না। আমি তাদেরকে আহ্বান করব, আপনারা সবাই টিকা নিতে আসুন। আমাদের হাতে এখনও ৪ কোটি টিকা মজুদ রয়েছে।’

‘আমি সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা টিকা গ্রহণ করবেন, নিরাপদ থাকবেন, সুস্থ থাকবেন’-আবার বলেন তিনি।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করতে বসানো আরটি-পিসিআর ল্যাবের কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী টিকার পাশাপাশি মাস্ক পরার পরামর্শও দেন। বলেন, ‘এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক আমাদের বড় হাতিয়ার।’

৬০ ঊর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে করোনার তৃতীয় ডোজ দেয়ার পরিকল্পনা বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটা নিয়ে ট্রেনিং করতে হবে। এটা করতে যতটুকু সময় লাগে, তারপরে আমরা মূল কার্যক্রম শুরু করব।’

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে সতর্ক থাকলেও আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, ‘আমরা সতর্ক কিন্তু পেনিকড হব না।

‘ওরিয়েন্ট দ্রুত ছড়িয়ে যায়, আফ্রিকাতে শতভাগ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে স্বস্তির বিষয় এই ভেরিয়েন্টে এখনও কোনো মৃত্যুর সংবাদ আসেনি। এই ভেরিয়েন্টের উপসর্গ অনেক মৃদু।’

তিন-চারদিনের মধ্যেই বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থানান্তর করে পরীক্ষা শুরু হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে যেহেতু জায়গা অনেক বেশি, সেহেতু টেস্টের পরিসর বাড়ানো হবে।’

ওমিক্রন যে অঞ্চলে শনাক্ত হয়েছে, সেই আফ্রিকা থেকে কেউ দেশে এলে তাকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখার যে ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গত বছর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের জন্য যেসব হোটেল নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেসব হোটেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার কথা তোলে ধরলে মন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে কাণ্ডজ্ঞানহীন লোক রয়েছে, যারা দেশের কথা নিজের কথা ভাবে না। হোটেল থেকে পালিয়ে বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গিয়েছে। এবার এটা প্রতিরোধে এবার আমরা কঠোর অবস্থানে যাব। প্রথমে আমরা তাদের পাসপোর্ট নিয়ে রেখে দিব। যে হোটেল থেকে পালিয়ে যাবে সে হোটেলের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়াসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অন্যন্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর