পার্বত্য অঞ্চল দেশের জন্য বোঝা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
তিনি বলেছেন, এ অঞ্চল দেশের সম্পদ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চল দেশের জন্য বোঝা হবে না; পার্বত্য অঞ্চল হবে দেশের জন্য সবচেয়ে বড় সম্পদশালী। সব ভেদাভেদ ভুলে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে সমৃদ্ধশালী দেশের স্বপ্ন দেখেন, সেটি বাস্তবায়নের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের সন্তানরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাত শক্তিশালী করবে।’
ওই সময় বীর বাহাদুর উশৈসিং জানান, পার্বত্য অঞ্চলে বর্তমানে শিক্ষার হার ৫০ ভাগের কাছাকাছি।
তিনি বলেন, ‘আগে শিক্ষার হার অনেক কম ছিল। এখন ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। আমরা শিক্ষা খাতে এগিয়ে যাচ্ছি। যেখানে স্কুল-কলেজ ছিল না। সেখানে প্রধানমন্ত্রী অনেক স্কুল-কলেজ করেছেন। উচ্চশিক্ষার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ করা হয়েছে, মেডিক্যাল কলেজও করা হয়েছে।
‘প্রায় উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ করা হয়েছে। এ ধরনের অনেক প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে। আগের শিক্ষার হারে সরকারগুলো গুরুত্ব দেয়নি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়েছেন। শিক্ষার হার বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় গুরুত্ব দিচ্ছেন। আমাদের গ্রামগুলো অনেক দূরে পাহাড়ে পাহাড়ে। আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলে তাদের কষ্ট কম হবে। এতে শিক্ষার হারও বাড়বে।’
ওই সময় পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘কারাগারে পরিণত করা হয়েছে’ বলে সন্তু লারমার এক বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘উনি ওনার দৃষ্টিকোণ থেকে বলতেই পারেন। সারা বিশ্বে এমন কোনো জায়গা আছে, যেখানে সমস্যা থাকে না?
‘সেখানে কোনো কারণে যদি কোনো ঘটনা ঘটেই যায়, সরকার তাৎক্ষণিকভাবে সেটি চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে সে এলাকার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সব সময় তৎপর থাকে। কোনো ঘটনা ঘটলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সরকার তৎপর।’
মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৭ সালের পার্বত্য শান্তিচুক্তির আগে এবং আজকের পার্বত্য অঞ্চলের পরিবেশ-পরিস্থিতি আকাশ-পাতাল তফাৎ। আজকে সেখানে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। যত দ্রুত আমরা সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারি, তত আমাদের জন্য কল্যাণকর। সবাইকে আহ্বান করব যারা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলনে ছিলেন, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
‘সংঘর্ষ, সংঘাত বাদ দিয়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে হাতে হাত মিলিয়ে সুন্দর পরিবেশ তৈরির যে আস্থা তৈরি করেছিলাম, সেটি আরও দৃঢ়ভাবে টিকিয়ে রাখতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানাই।’