দীর্ঘ ৮ মাস পর বেনাপোল-ঢাকা রুটে পুনরায় চালু হয়েছে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের ৫ এপ্রিল থেকে ঢাকা-বেনাপোল রুটে আন্তঃনগর ট্রেনটিও বন্ধ করে দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘদিন পর ট্রেনটি পুনরায় চালু হওয়ায় স্থানীয় যাত্রীসাধারণ খুশি হলেও সেবা সুবিধা নিয়ে সন্তুষ্ট নন তারা।
রেল সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেনাপোল এক্সপ্রেস উদ্বোধন করেন। ৮৮৬ আসন বিশিষ্ট ট্রেনটির ১২টি বগিতে ৪৮টি কেবিন আসন, ৭৮টি এসি চেয়ার আসন, ৭৬০টি নন এসি চেয়ার আসন ছিল।
কিন্তু বৃহস্পতিবার যে ট্রেন দিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেস পুনরায় চালু করা করা হয়েছে সেটিতে আগের ট্রেনের তুলনায় যাত্রী সুবিধার ঘাটতি রয়েছে।
যাত্রীরা বলছেন, নতুন করে চালু হওয়া ট্রেনটিতে কোনো এসি বগি নেই। ৮টি বগিতে ৪৮টি কেবিন আসন আছে। বাকি ৭৪৫টি ননএসি চেয়ার আসন আছে। ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ননএসি আসন প্রতি ৪৮৫ টাকা ও কেবিন প্রতি ১ হাজার ১১৬ টাকা।
নিউজবাংলাকে ট্রেনের যাত্রী হাবিব চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়িক কাজে প্রতিমাসে ৪ থেকে ৫ বার ঢাকায় যাতায়াত করতে হয়। বেনাপোল এক্সপ্রেস চালু হওয়ার পর থেকে আমি ঢাকায় প্লেনে না গিয়ে ট্রেনে চলাচল শুরু করি। অনেকদিন পর আজ পুনরায় ট্রেনটি চালু হওযার পর স্টেশনে এসে ট্রেনে এসি নাই শুনে অবাক হলাম।
'বেনাপোলে নানা শ্রেণির মানুষকে চাকরির সুবাদে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে হয়। কাস্টমস ও বন্দরের অনেক কর্মকর্তা এসি ট্রেনে চলাচল করতেন। এখন এসি চেয়ার না থাকলে আগের মতোই ভোগান্তি হবে যাত্রীদের। কেউ ওই সুবিধাটুকু নিয়ে ট্রেনে ঢাকায় যাতায়াত করতে চাইলে তাকে যশোর থেকে এসি ট্রেনে উঠতে হবে। এতে খরচ বাড়ার পাশাপাশি ভোগান্তির শিকার হতে হবে।বেনাপোল স্টেশনমাস্টার সাইদুর রহমান এ ব্যাপারে নিউজবাংলাকে বলেন, 'করোনা ভাইরাসের কারণে বেনাপোল এক্সপ্রেসটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ পুনরায় চালু হয়েছে। আগে এ রুটে যে বেনাপোল এক্সপ্রেস চলতো সেটি ইন্দোনেশিয়ার তৈরি। আর নতুন যাত্রা শুরু করা ট্রেনটি তৈরি হয়েছে ভারতে। আগের ট্রেনে এসি আসন ছিল। এটিতে এসি কেবিন থাকলেও এসি চেয়ার নেই।'
বেনাপোল এক্সপ্রেসটি আগের মত সপ্তাহে ছয় দিন চলবে বলেও জানান তিনি।