গণপরিবহনে প্রচলিত ওয়ে বিলকে মানুষ ঠকানোর হাতিয়ার উল্লেখ করে এটি বাতিলসহ সাত দফা দাবি জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবু তালেব রেজিস্ট্রি ডাকযোগে বৃহস্পতিবার এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যানকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় রিট করা হবে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন নোটিশকারী আইনজীবী আবু তালেব।
৭ দফা দাবি
নোটিশে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এটি নিরসনে ৭ দফা দাবি জানানো হয়েছে।
১. ঢাকাসহ সারা দেশে যেসব গণপরিবহন পেট্রল, ডিজেল ও গ্যাসে চলে, তা নির্ধারণ করে প্রতিটি গণপরিবহনে বিআরটিএর লোগোসহ পরিবহনের সামনে ও পেছনে নেমপ্লেট আকারে সাঁটাতে হবে, যাতে যাত্রীরা বুঝতে পারে।
২. ঢাকা শহরসহ দেশের সব রুটের স্টপেজ টু স্টপেজের কোথাকার ভাড়া কত, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইন অনুযায়ী সব পরিবহনের মালিক-শ্রমিকদের ভাড়ার চার্ট টানানো বাধ্যতামূলক করতে হবে। একই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট স্টপেজে সাইনবোর্ড কিংবা ইলেকট্রনিকস বিলবোর্ডে সেগুলো লিখে ডিসপ্লে করতে হবে।
৩. ভাড়া নির্ধারণের আইনগত ভিত্তি কী? মালিকদের দাবির মুখেই ভাড়া বাড়ানোর অনুমোদন দেয়া হয়। কিলোমিটারপ্রতি বাস ও লঞ্চের ভাড়া নির্ধারণে সংসদ প্রণীত আইনের অধীনে কখন ও কত বছর পরে ভাড়া বৃদ্ধি করা হবে, এ মর্মে কোন বিধি রয়েছে, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।
৪. শিক্ষার্থীদের বাস ও লঞ্চ ভাড়া অর্ধেক নেয়ার সিদ্ধান্ত অনতিবিলম্বে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করতে হবে।
৫. সারা দেশে কতগুলো বাস ও লঞ্চ তথা গণপরিবহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট আছে এবং কতগুলোর নেই, তা জানাতে হবে এবং কতসংখ্যক ড্রাইভারের লাইসেন্স আছে, সেটিও জানাতে হবে।
৬. ওয়ে বিল মানুষ ঠকানোর একটি হাতিয়ার। এটার কথিত প্রয়োগ শিগগিরই বন্ধ ও বাতিল করতে হবে।
৭. আনুষঙ্গিক অন্যান্য সব কাজ যা যাত্রীকল্যাণে করা দরকার, তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।