তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট ৭টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেবে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়।
আগামী ৪ ডিসেম্বর জাতীয় বস্ত্র দিবসে এ সম্মাননা দেয়া হবে।
সচিবালয়ে বস্ত্র দিবস আয়োজন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
সম্মাননা দেয়া নিয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস বিপর্যয়ের মধ্যে বস্ত্র খাতকে রক্ষায় অবদানের জন্য এ সম্মাননা দেয়া হবে।’
মন্ত্রী বলেন, “জাতীয় বস্ত্র দিবসের জন্য নির্ধারিত দিনে অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ উদযাপন করবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী বস্ত্র শিল্পের টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারের জন্য বস্ত্র খাত সংশ্লিষ্ট সকল উদ্যোগকে সমন্বিত করা এবং সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন, উদ্যোক্তা, শ্রমিক, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-বিভাগ-দপ্তর-সংস্থার বহুমুখী কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয়ের লক্ষ্যে ২০১৯ সাল থেকে এ দিবস পালন করা হচ্ছে।
“বাংলাদেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে বস্ত্র খাতের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে তৈরি পোশাক খাত। দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ অর্জন হয় এ খাত হতে। দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের একটি বড় অংশ আসে বস্ত্র খাত থেকে।”
তিনি বলেন, ‘তৈরি পোশাকশিল্পের ক্রমউন্নয়ন বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজ জীবনে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধন করেছে। বর্তমানে বস্ত্র খাতে প্রায় ৫০ লক্ষ শ্রমজীবী কর্মরত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ শ্রমজীবী নারী এবং এসব কর্মকাণ্ড নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
‘বস্ত্র শিল্পের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের গতি বেগবান করা এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার লক্ষ্য সামনে রেখে আগামী ৪ ডিসেম্বর জাতীয় বস্ত্র দিবস দেশব্যাপী উদযাপন করা হবে।’
গোলাম দস্তগীর বলেন, “এবারের জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বস্ত্র খাতের বিশ্বায়ন: বাংলাদেশের উন্নয়ন’। এ উপলক্ষে ৪ ডিসেম্বর ওসমানী মিলনায়তনে বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
“এ অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাপী চলমান করোনাভাইরাস বিপর্যয়ের অভিঘাতে বস্ত্র খাতকে রক্ষায় অবদানের জন্য ৭টি অ্যাসোসিয়েশন ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।”
পুরস্কার পেতে পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ), বাংলাদেশ স্পেশালাইজড টেক্সটাইল মিলস অ্যান্ড পাওয়ার লুম ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএসটিএমপিআইএ), বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিটিএলএমইএ) এবং বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতী সমিতি।