ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার একটি চালান দেশে পৌঁছেছে। বুধবার রাত ৮ টা ১০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকার এ চালান পৌঁছায়। টিকা কেনার চুক্তির পর দীর্ঘ বিরতি দিয়ে এবার ৪৫ লাখ টিকা পাঠিয়েছে ভারত।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতের প্রতিষ্ঠানটি থেকে বাংলাদেশ কিনেছে মোট তিন কোটি ৪০ লাখ টিকা। প্রথম চালানের ৫০ লাখ টিকা দেশে এসেছে গত ২৫ মার্চ। এর আগে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২০ লাখ টিকা আসে ২১ জানুয়ারি।
বাংলাদেশ যে টিকা কিনেছে, তাতে মধ্যস্ততা করেছে বেক্সিমকো ফার্মা। তারা সিরামের লোকাল এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। পাশাপাশি দেশে টিকা আসার পর এর সংরক্ষণ ও পরিবহণের দায়িত্বও তারাই পালন করছে।
বেক্সিমকো ফার্মার চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিশেষ বিমানে ৪৫ লাখ টিকা দেশে এসেছে। টিকা বহনকারী বিমান রাত ৮ টা ১০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে। আমাদের প্রতিনিধিরা এটা রিসিভ করে গাজীপুরের ওয়ারহাউজ রাখবে।'
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্বজুড়ে নানা ব্র্যান্ডের টিকার প্রয়োগ চলছে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার, মডার্না, রাশিয়ার স্পুৎনিক, চীনের সিনোভ্যাক। বিভিন্ন উৎস থেকে এসব টিকা উপহার হিসেবে পেলেও বাংলাদেশ পৃথকভাবে টিকা কিনছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ও ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ‘কোভিশিল্ড’টিকা। সিরামের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে টিকা দেশে পাঠানোর কথা ছিল। যা সে দেশের টিকা রপ্তানির নিষেধাজ্ঞায় আটকে যায়।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ও ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড টিকার মাধ্যমে। সিরামের সঙ্গে তিন কোটি ডোজ টিকার চুক্তি হলেও ভারত টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে শুরুতেই বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ৭০ লাখ ডোজ পাওয়ার পর টিকা আসা বন্ধ হয়।
নানা জটিলতা কাটিয়ে দীর্ঘ বিরতির পর বুধবার ৪৫ লাখ টিকা পেল বাংলাদেশ।