বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এই উত্তরণে সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিজয়ের ৫০ বছর উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরঝিলে লাল-সবুজের মহোৎসবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নেয়ার অনেক সুযোগ আমরা পাব। এটা আমরা উন্নয়নশীল দেশ না হলে পেতাম না। এ জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমরা সব সময় প্রস্তুত। ব্যবসায়ীদের বলব, আপনারাও প্রস্তুতি নিন। মনে রাখবেন এই দেশ এই মাটি আপনাকে সেই সুযোগ দিয়েছে। তাই সবাই মিলে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তুলব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। আমরা তাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। জাতির সার্বিকভাবে যাতে উন্নতি হয় আমরা সে ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছি। ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলাম, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলাম। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রযুক্তির মাধ্যমে আমি এখন আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পারছি। ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠান করতে পারছি। এটা অবশ্যই একসময় মানুষের কল্পনার অতীত ছিল।
‘বাণিজ্য থেকে শুরু করে ক্রয়-বিক্রয়, বিভিন্ন কর্মসূচি- সবকিছুই মানুষ এখন ডিজিটালভাবে করতে পারছে। এমনকি কৃষক ফসলে কী সার দেবে, সেই তথ্যটাও ডিজিটাল মাধ্যমে জেনে নিতে পারছে। আমরা তথ্য-প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ব্যাপকভাবে গণমানুষের কর্মসংস্থান ও তাদের সেবার মান নিশ্চিত করছি। এভাবেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষকে। তারা বারবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। দীর্ঘ সময় ধরে সরকারে থাকায় এ সুযোগ আমরা পেয়েছি। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পেরেছি।
'আজকের বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ২০ শতাংশের দিকে নেমে এসেছে। মহামারি না দেখা দিলে হয়তো আমরা এই হার আরও কমাতে পারতাম। প্রবৃদ্ধির হার আরও উন্নত করতে পারতাম। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী অনৈতিক মন্দা ও ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু স্থগিত ছিল বলে আমাদের প্রবৃদ্ধি কিছুটা কম হয়েছে। এশিয়ার মধ্যে আমরাই সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৫৫৪ ডলার করতে সক্ষম হয়েছি। অর্থাৎ তৃণমূল পর্যায় থেকে মানুষ যাতে তাদের জীবন-মান উন্নত করতে পারে, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি ও তাদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আজ আমরা যখন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছি, তখন বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আজ জাতির পিতা বেঁচে নেই। কিন্তু নিশ্চয়ই তিনি জান্নাতে বসে উন্নয়নশীল বাংলাদেশকে দেখছেন। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করা। বাংলাদেশ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ।’