বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোট নিয়ে বিবাদে বাড়িঘরে আগুন গুলি, ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

  •    
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ২৩:১৬

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির হোসেন জানান, মামলার ২ নম্বর আসামি ও কায়েতপাড়া ইউনিয়নে সদ্য নির্বাচিত ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জয়-পরাজয়কে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ ও বাড়িঘরে আগুন দেয়ার ঘটনায় হওয়া মামলায় নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হোসেনের বোন সালেহা ভূঁইয়া বুধবার রাত ৮টার দিকে মামলাটি করেন। এতে ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ২০০-৩০০ জনকে।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির হোসেন নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মামলার ২ নম্বর আসামি ও কায়েতপাড়া ইউনিয়নে সদ্য নির্বাচিত ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাউরা এলাকায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সংঘর্ষে জড়ায় জয়ী ও পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকরা। এতে নারীসহ ২ জন গুলিবিদ্ধ ছাড়াও আহত হন অন্তত ১০ জন।

ওই সময় আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হোসেনের বাড়িসহ পাঁচটি ঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনার পর বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নাওড়া এলাকায় পুলিশের শক্ত অবস্থান দেখা গেছে। তারা ওই গ্রামের প্রবেশপথসহ বিভিন্ন স্থানে টহল দিয়েছেন। পুলিশ ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা সারা দিন সেখানে ছিলেন।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জানায়, বাড়িগুলোতে অনেক আসবাবপত্র ছিল। পাশাপাশি অনেকের ঘরে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার রাখা ছিল। আগুনে সব পুড়ে গেছে। এ ছাড়া হামলাকারীরা গোয়াল ঘর থেকে গরু ও ছাগলও নিয়ে গেছে।

এদিকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ও আহতদের আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। দুপুরে তিনি ২০টি পরিবারকে ৫০ হাজার করে টাকা অনুদান দেন।

এ সময় গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘নির্বাচনে এ গ্রামের মানুষ যারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন, তাদের ঘরে এ হামলা চালানো হয়েছে। প্রশাসন যদি শক্ত অবস্থান নিত, তাহলে এ ঘটনা ঘটার কথা ছিল না।

‘যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। নয়তো তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ হবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর