বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফেসবুক-গুগলের অ্যালগরিদম খতিয়ে দেখবে অস্ট্রেলিয়া

  • ইমরানুর রহমান, ডেস্ক    
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:৫৮

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অ্যালগরিদমের ধরন, কীভাবে কোম্পানিগুলো একজন ব্যবহারকারীর পরিচয় ও বয়স নিশ্চিত হয়, কোন ধরনের বিধিনিষেধ তাদের উপর আরোপ করা যেতে পারে তাও খতিয়ে দেখবেন আইন প্রণেতারা।

বিশ্বের বৃহৎ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব হলো তাদের নিজেদের প্ল্যাটফর্ম নিরাপদ রাখা। এমনটাই মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

আল জাজিরা জানাচ্ছে, স্কট মরিসন বলেছেন, ‘বিশ্বের বৃহৎ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যাবলী পর্যবেক্ষণ ও সে সংক্রান্ত নতুন আইন প্রণয়নের জন্য শিগগির অস্ট্রেলিয়া বিস্তৃত পরিসরে সংসদীয় তদন্ত চালাবে।‘

তিনি জানান, তদন্ত এটি হবে বৃহৎ পরিসরে। গুগল, ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অ্যালগরিদমের ধরন, কীভাবে কোম্পানিগুলো একজন ব্যবহারকারীর পরিচয় ও বয়স নিশ্চিত হয়, কোন ধরনের বিধিনিষেধ তাদের উপর আরোপ করা যেতে পারে, তাও খতিয়ে দেখবেন আইন প্রণেতারা।

মরিসন বলেন, ‘বৃহৎ কোম্পানিকে বৃহৎ প্রশ্নের উত্তরই দিতে হবে। বড় কোম্পানিগুলোই এই প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে, তাদেরকেই এই প্ল্যাটফর্মগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’

নতুন তদন্তের এই ঘোষণা অস্ট্রেলিয়া ও ফেসবুকের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। ফেসবুক ভবিষ্যতের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে নাম পরিবর্তন করে ‘মেটা’ করেছে।

এ বছরের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়া নতুন আইন বাস্তবায়ন করে, যেখানে ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোকে স্থানীয় কনটেন্ট ব্যাবহারের জন্য টাকা দিতে হয়। নতুন আইনে সামাজিক মাধ্যমগুলোকে যেসব একাউন্টের বিরুদ্ধে মানহানির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। সেসব বেনামী একাউন্টের পরিচয় প্রকাশে বাধ্য করা হয়।

যদিও শুরুর দিকে এইসব আইন মানতে চায়নি বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। আলফাবেটের সহপ্রতিষ্ঠান গুগল এমনকি হুমকিও দিয়েছিল যে, তারা অস্ট্রেলিয়ান সার্চ ইঞ্জিন বন্ধ করে দেবে। ফেসবুকও সে সময় অনেক কনটেন্ট বন্ধ করে দেয়।

ফেসবুকের বিরুদ্ধে অনুমতি না নিয়ে গ্রাহকের তথ্য ব্যবহারের বেশকিছু অভিযোগ আছে। যার জেরে ক্যামব্রিজ এনালিটিকার মতো পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। ফেসবুককে গুনতে হয় ৫ বিলিওন ডলার জরিমানা।

একই ধরনের অভিযোগে এর আগে আমেরিকান কংগ্রেসের মুখোমুখি হতে হয় ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গকে।

এ বিভাগের আরো খবর