বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশজুড়ে ২০০ গ্রামীণফোন সেন্টার

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:৫০

উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে জিপিসি চালুর মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার ২০০তম জিপিসি স্থাপন করল প্রতিষ্ঠানটি।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতেও গ্রামীণফোন সেন্টার (জিপিসি) খুলেছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। এ নিয়ে দেশজুড়ে ২০০টি জিপি সেন্টারের মাইলফলকে পৌঁছাল।

গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে সারা দেশে এই জিপিসি সেন্টারগুলো খুলেছে গ্রামীণফোন। বুধবার দেশের উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে জিপিসি চালুর মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার ২০০তম জিপিসি স্থাপন করল প্রতিষ্ঠানটি।

এ উপলক্ষে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ এই জিপিসি উদ্বোধন করেন বলে প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

গ্রামীণফোনের হেড অফ কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশারের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার সাজ্জাদ হাসিব, চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হোসেন সাদাত ও হেড অফ কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড সার্ভিস আওলাদ হোসেন।

অনুষ্ঠানে গ্রাহক ও জিপিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে গ্রামীণফোনের হেড অফ কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড সার্ভিস আওলাদ হোসেন কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকা নাগেশ্বরী থেকে যুক্ত হন এবং জিপিসির কার্যক্রম তুলে ধরেন।

গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদানের অনুপ্রেরণা থেকে এখন দেশজুড়ে গ্রামীণফোনের প্রয়োজনীয় কাস্টমার সল্যুশন সেন্টার রয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে সর্বোচ্চ সম্পৃক্ততা এবং প্রতিশ্রুতি পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা নিশ্চিত করছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০০ জিপিসির পাশাপাশি গ্রামীণফোনের বিদ্যমান অন্যান্য ডিজিটাল সেবা চ্যানেল-১২১ হটলাইন ও মাইজিপি অ্যাপ্লিকেশনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। জেলা সদরের বাইরে জিপিসির বিস্তৃতি ঘটেছে এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন গ্রামীণফোন সেন্টার রয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০টি জিপিসির মধ্যে ঢাকায় ২৪টি, সিলেটে ২৪টি, রাজশাহীতে ২১টি, বরিশালে ১৯টি, বগুড়ায় ১৮টি, খুলনায় ১৭টি, ময়মনসিংহে ১৭টি, কুমিল্লায় ১৬টি, চট্টগ্রামে ১২টি এবং রংপুরে ৭টি জিপিসি রয়েছে। এ ছাড়া গ্রাহকরা সারা দেশের ৪ লাখ ২০ হাজার রিটেইল পয়েন্ট থেকেও সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিটিআরসির মহাপরিচালক নাসিম পারভেজ বলেন, ‘সত্যিকার অর্থেই গ্রামীণফোনের জন্য আজকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন, কারণ জনগণের কাছাকাছি আসার এক বিশাল মাইলফলক প্রতিষ্ঠানটি অর্জন করেছে। জনগণের সঙ্গে কানেক্টেড হওয়ার জন্য গ্রামীণফোনের হটলাইন, মাইজিপির মতো সেবা থাকলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য গ্রামীণফোন সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা সব সময়ই থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সাধারণ মানুষ যারা এখনও পুরোপুরি ডিজিটাল সেবায় অন্ত অন্তর্ভুক্ত হয়নি, জিপি সেন্টার তাদের জন্য সেবার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’

গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার সাজ্জাদ হাসিব বলেন, ‘২০০তম জিপিসির এই দুর্দান্ত মাইলফলক অর্জন নিয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। এই স্টোরগুলো গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানে আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রতিফলন। দুই দশক ধরে গ্রাহকরা আমাদের কাছ থেকে তাদের পছন্দসই পণ্য, সেবা এবং সুবিধা পেতে সানন্দে আমাদের সেন্টারগুলোয় আসছেন। গ্রামীণফোন সেন্টারে আমরা প্রত্যেক গ্রাহকের চাহিদাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি এবং তাদের ডিজিটাল জীবনধারার মানোন্নয়নে যথোপযোগী সমাধান প্রদান করি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশজুড়ে সবচেয়ে বিস্তৃত উচ্চ গতিসম্পন্ন ফোরজি কাভারেজ রয়েছে এবং গ্রাহকদের সেবা প্রদানে এই সেন্টারগুলো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও রয়েছে। গ্রাহকরা এসব সেন্টার থেকে তাদের ডিজিটালের সব প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারবেন।’

হেড অফ গ্রামীণফোন কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড সার্ভিস মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা ২০০ গ্রামীণফোন সেন্টারের এক বিশাল মাইলফলক অর্জন করেছি, যা একই সঙ্গে অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের বিষয়। সামনের দিনগুলোয় আরও স্টোর চালুর মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের কাছাকাছি পৌঁছানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।’

গ্রামীণফোনের অ্যাক্টিং সিসিএও হোসেন সাদাত বলেন, ‘সর্বোচ্চ গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে গ্রামীণফোন এ ধরনের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করবে। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই বেশিসংখ্যক গ্রাহকের ডিজিটাল সেবায় অন্তর্ভুক্ত করার কাজ আরও গতিশীল করা সম্ভব হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর