কক্সবাজার বিমানবন্দরে গরুর সঙ্গে উড়োজাহাজের ধাক্কার ঘটনায় চার আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।নিউজবাংলাকে বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্তজা হোসেন।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরের সীমানাপ্রাচীর এলাকায় দায়িত্বে থাকা চার সদস্যকে দায়িত্বে গাফিলতির কারণে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের সুপারিশের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিমানবন্দরে মঙ্গলবার বিকেলে অল্পের জন্য রক্ষা পায় বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ। সেটি ওড়ার সময় রানওয়েতে ঢুকে পড়ে দুটি গরু। সেগুলোকে ধাক্কা দিয়েই যাত্রী নিয়ে আকাশে ওড়ে বিজি ৪৩৪ ফ্লাইটটি।
উড়োজাহাজ ও আরোহীরা নিরাপদে থাকলেও মারা গেছে বিমানের সঙ্গে ধাক্কা লাগা দুটি গরু।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের যাত্রা শুরু প্রায় ৭৫ বছর আগে। একে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করতে কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের জুলাইয়ে। তিন বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটিকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে উদ্বোধন করেন। তবে রানওয়ের কাজ শেষ হওয়ায় ২০১৭ সাল থেকেই এখানে অবতরণ-উড্ডয়ন করছে আন্তর্জাতিক রুটের বিমান। এ ছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রতিদিনই আকাশপথে কক্সবাজার আসছেন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা।
এমন অবস্থায় মঙ্গলবার উড্ডয়নের সময় উড়োজাহাজের ধাক্কায় দুটি গরুর মৃত্যুর পর বিমানবন্দরটির নিরাপত্তা দুর্বলতা নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়েতে মঙ্গলবার বিকালে উড়োজাহাজের ধাক্কায় দুটি গরু মারা গেছে। ছবি: নিউজবাংলা
কক্সবাজার বিমানবন্দরে নিয়োজিত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক নিউজবাংলাকে জানান, বিমানের ফ্লাইটটি মঙ্গলবার উড্ডয়নের সময় ডান পাশের পাখায় ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়ে গরু দুটি। সেখানেই সেগুলো মারা যায়। তবে উড়োজাহাজটি ৯৪ যাত্রী নিয়ে সফলভাবেই উড্ডয়ন করে।
২০০৫ সালে কক্সবাজার বিমানবন্দরের উত্তরে বঙ্গোপসাগরে একটি কার্গো উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে বিদেশি পাইলটসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। কার্গো উড়োজাহাজটি কক্সবাজার থেকে চিংড়ি পোনা নিয়ে যশোর যাচ্ছিল। এ ছাড়া ২০১৭ সালে একটি বেসরকারি উড়োজাহাজের চাকায় পিষ্ট হয়ে রানওয়েতে তিনটি কুকুরের মৃত্যু হয়।