করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ১ বছর ৯ মাস পর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
দিনের কার্যতালিকা অনুযায়ী বুধবার সকাল ৯টায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে মামলার বিচারকার্য শুরু হয়।
এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালত চলাকালীন অনেক মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই সময়ে আপিল বিভাগে থাকা ২৪ হাজার মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়ে এখন সাড়ে ১৫ হাজারের মতো মামলা রয়েছে।
আপিল বিভাগ ঘুরে দেখা যায়, শারীরিক উপস্থিতিতে আদালত চালু হলে সকাল থেকেই সেখানে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ভিড়।
শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম শুরু নিয়ে গত সোমবার প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর।
এতে বলা হয়, ‘প্রধান বিচারপতি, জ্যেষ্ঠ বিচারপতিগণের সঙ্গে আলোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, আগামী ১ ডিসেম্বর, বুধবার হতে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’
দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে প্রায় ১ বছর ৯ মাস ধরে আপিল বিভাগ ভার্চুয়ালি চলছিল। তবে হাইকোর্ট বিভাগের কিছু বেঞ্চ শারীরিক উপস্থিতিতে এবং কয়েকটি বেঞ্চ ভার্চুয়ালি চলেছে।