বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গ্রেপ্তার দেখানো হলো অনাবিলের চালক-হেলপার-কনডাক্টরকে

  •    
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১২:৪০

সড়ক পরিবহন আইনে মাইনুদ্দিনের মা রাশিদা বেগমের করা মামলায় চালক মো. সোহেল, হেলপার চাঁন মিয়া ও কনডাক্টর গোলাম রাব্বীকে গ্রেপ্তার দেখায় রামপুরা থানা পুলিশ। তিনজনের মধ্যে হেলপার ও কনডাক্টরকে বুধবার আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডে চাওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রাজধানীর রামপুরায় শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিনকে চাপা দেয়া অনাবিল পরিবহনের বাসের চালক, হেলপার ও কনডাক্টরকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।

সড়ক পরিবহন আইনে মাইনুদ্দিনের মা রাশিদা বেগমের করা মামলায় চালক মো. সোহেল, হেলপার চাঁন মিয়া ও কনডাক্টর গোলাম রাব্বীকে গ্রেপ্তার দেখায় রামপুরা থানা পুলিশ।

তিনজনের মধ্যে হেলপার ও কনডাক্টরকে বুধবার আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডে চাওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পরের সহিংসতায় আরও দুটি মামলা হয়েছে। অন্যদিকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রামপুরা ব্রিজের ওপর বুধবার ফের অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

আটক থেকে গ্রেপ্তার

গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরা বাজারে সোনালী ব্যাংকের সামনের রাস্তায় অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় মাইনুদ্দিন নামের শিক্ষার্থীর।

মাইনুদ্দীন একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় বাবার ব্যবসায় সহযোগিতা করছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরা বাজারে সোনালী ব্যাংকের সামনের রাস্তায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা অনাবিল পরিবহনের একাধিক বাসসহ অন্তত আটটি বাসে আগুন ও চারটি বাস ভাঙচুর করে। বিপুলসংখ্যক পুলিশ এসে রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

দুর্ঘটনার সময় চালক মো. সোহেলকে আটক করে প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাকে পিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে দেয়া হয়। বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চালক।

পরের দিন মঙ্গলবার ভোরে সায়েদাবাদ এলাকা থেকে হেলপার চাঁন মিয়াকে আটক করে র‌্যাব। পরে তাকে রামপুরা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

একই দিন সন্ধ্যায় সায়েদাবাদ থেকে কনডাক্টর রাব্বীকে আটক করে র‌্যাব। তাকেও রামপুরা থানা পুলিশের কাছে দেয়া হয়।

তিনজনকেই পরবর্তী সময়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রিমান্ড চাওয়া হবে কনডাক্টর-হেলপারের

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিনের মা রাশিদা বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে রামপুরা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় তিনজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাদের একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি দুজনকে (হেলপার ও কনডাক্টর) আদালতে পাঠিয়ে বুধবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হবে।

নাশকতার আরও ২ মামলা

শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন নিহত হওয়ার পর নাশকতার ঘটনায় আরও দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে রামপুরা থানায় একটি ও হাতিরঝিল থানায় একটি মামলাটি হয়েছে। দুটি নাশকতা মামলারই বাদী পুলিশ।

রামপুরা থানার মামলাটিতে অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জন এবং হাতিরঝিল থানার মামলাটিতে অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ওই দুটি মামলা মঙ্গলবার দুপুরে করা হয় বলে নিশ্চিত করেন রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ও হাতিরঝিল থানার ওসি আবদুর রশীদ।

রামপুরা ব্রিজে অবস্থান শিক্ষার্থীদের

আগের দিনের মতো বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে নামেন শিক্ষার্থীরা।

তারা জানান, নিরাপদ সড়কের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর দুইটা পর্যন্ত তারা রাস্তা অবরোধ করেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবারও নেমেছেন।

রামপুরা ব্রিজের দুই পাশের সড়কে অবস্থান নিয়ে যানবাহন ও চালকদের কাগজ ও লাইসেন্স যাচাই করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। সেই সঙ্গে ঢাকার পাশাপাশি সারা দেশে শিক্ষার্থীদের বাসে হাফ ভাড়া চালুসহ বাকি আটটি দাবি বাস্তবায়নে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের।

এ বিভাগের আরো খবর