বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বরগুনা ও চুয়াডাঙ্গায় জামানত খোয়ালেন ২৫ প্রার্থী

  •    
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১২:১৭

পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী জাবির হোসেন জানান, এবার মনোনয়নের ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ প্রার্থী বাছাইয়ে তৃণমূলের জনপ্রিয়তাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে। সে কারনেই এ উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।

বরগুনা ও চুয়াডাঙ্গায় ইউনিয়ন পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় ২৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

এর মধ্যে পাথারঘাটা উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নে জামানত হারিয়েছেন ৯ জন প্রার্থী। আর আলমডাঙ্গার ১৩টি ইউনিয়নে হারিয়েছেন ১৬ জন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

আইন অনুসারে, নির্বাচনে পোলকৃত মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পাওয়া প্রার্থীদের জামানত স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাজেয়াপ্ত হয়।

বরগুনা

পাথরঘাটা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

এর মধ্যে সদর ইউনিয়নে পরপর দু’বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ এবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করায় জামানত হারিয়েছেন। একই ইউনিয়নে জামানত হারিয়েছেন পরপর দুইবার নির্বাচিত উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম মতিউর রহমান মোল্লা। এ ইউনিয়নের জামানত হারিয়েছেন আরও তিনজন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও প্রধান রিটার্নিং অফিসার আইয়ুব আলী হাওলাদার।উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে জানা যায়, পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে আলমগীর হোসেন ১৩ হাজার ৩ শো ৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ৬৮৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মতিউর রহমান মোল্লা।

এদিকে আসাদুজ্জামান আসাদ ৬৬৮ ভোট পেয়ে জামানত হারান। আর হাফিজুর রহমান হাতপাখা ৪ শো ৭৮ ভোট, রাশেদুল ইসলাম ৩০ ভোট ও সুমন ২৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।এদিকে নাচনাপাড়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে ফরিদ মিয়া ৫ হাজার ৩ শো ৪৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ১৩ শো ৬০ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছে আতিকুর রহমান সালু। অপরদিকে সতন্ত্রপ্রার্থী জহিরুল হক ৪ শো ৯৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।রায়হান পুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে মাইনুল ইসলাম ৭৮৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ৯ শো ৫৮ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছে হাতপাখা মার্কার শহিদুল ইসলাম জামানত হারিয়েছেন। এই ইউনিয়নে আবদুল মোতালেব ২১ ভোট ও নয়ন ২১ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।চরদুয়ানী ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আব্দুর রহমান জুয়েল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গত ২৮ নভেম্বর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পাথরঘাটা উপজেলা নাগরিক অধিকার আন্দোলনের কর্মী কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাঁকন জানান, উপজেলার চার ইউনিয়নে জনপ্রিয় ব্যাক্তিরাই নির্বাচিত হয়েছে।

পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী জাবির হোসেন জানান, এবার মনোনয়নের ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ প্রার্থী বাছাইয়ে তৃণমূলের জনপ্রিয়তাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে। সে কারনেই এ উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা

জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ১৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজয়াপ্ত হয়েছে।

এর মধ্যে দুই জন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, ৭ জন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ও ৭ জন স্বতন্ত্রপ্রার্থী রয়েছেন।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে জানা যায়, বেলগাছি ইউনিয়নে মোট ভোটের সংখ্যা ১৬ হাজার ৭৫টি। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকে সমীর কুমার দে পেয়েছেন ১০২টি ভোট ও আব্দুল বাতেন পেয়েছেন ৮২৭ ভোট।

হাতপাখা প্রতীকে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ইমদাদুল হক পেয়েছেন ৬৬৪ ভাট। অটোরিকশা প্রতীকের স্বতন্তপ্রার্থী উজির আলী পেয়েছেন ৪২ ভোট। তারা সবাই কম ভোট পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন।

কালিদাসপুর ইউনিয়নে চশমা প্রতীকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী আহসান উল্লাহ পেয়েছেন ৬৮০ ভোট। খাসকররা ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতীকে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদশর প্রার্থী আবাস উদ্দিন পেয়েছেন ৪১৩ ভোট।

ডাউকি ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী কাউসার আহমদ পেয়েছেন ৫৯১ ভোট। হাতপাখা প্রতীকে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুল মজিদ পেয়েছেন ৭৫ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্রপ্রার্থী সোহানুর রহমান চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৪ ভোট।

হারদী ইউনিয়নে ৪২৮ ভোট পেয়েছেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিনুল হক। ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতীকের ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী বিল্লাল হোসেন মাত্র ৭৪ ভোট পেয়েছেন।

বাড়াদী ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী আশিকুর রহমান পেয়েছেন মাত্র ৫৭০ ভোট। জেহালা ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতীকের ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ইদ্রিস আলী পেয়েছেন ৩৯০ ভোট এবং আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী মশিউর রহমান পেয়েছেন ৩৬৩ ভোট।

গাংনী ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতীকে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী নাজিম উদ্দীন ৩১৯ ভোট পেয়েছেন। একই ইউনিয়ন আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ইসলাম মামুন পেয়েছেন মাত্র ২৭ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহমেদ জানান, বাজেয়াপ্ত জামানতের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর