বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৩ নম্বর ভাটরা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন আপন দুই ভাই।
বড় ভাই মোরশেদুল বারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান। ছোট ভাই মজনুর রহমান মজনু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মোরশেদুল ও মজনুর চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করতে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। তবে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেয়েছেন মোরশেদুল। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মজনুর।
একই ইউনিয়নের এক পদে দুই ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
ভাটরা গ্রামের আব্দুল গফুর জানান, নির্বাচনে দুই ভাই প্রার্থী হওয়ায় অনেক ভোটার দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছে। কাকে ছেড়ে কাকে ভোট দেবে। তাদের বাবা চেয়ারম্যান ছিলেন, সে কারণে তারা এ ইউনিয়নে ভোটারদের কাছে অনেক পরিচিত।
ওই ইউনিয়নের জহুরুল ইসলাম জানান, বড় ভাই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছেন সেখানে ছোট ভাইয়ের প্রার্থী হওয়া ঠিক হয়নি। তাদের বাবার পরিচয়েই দুই ভাই পরিচিত। এর মধ্যে বড় ভাই চেয়ারম্যান আছেন, উনি ছোট ভাইয়ের চেয়ে বেশি পরিচিত। এ অবস্থায় ভোটাররাও চিন্তায় পড়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা দুজনই প্রয়াত জালাল উদ্দিন চেয়ারম্যানের ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক কোন্দল রয়েছে। ফলে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী মোরশেদুল বারী বলেন, ‘আমি গত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছি। এবারও জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকায় অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। আমার বিশ্বাস, এ নির্বাচনেও আমি জয়লাভ করব।’
ছোট ভাই মজনুর রহমান মজনু বলেন, ‘আমার বাবার মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন ধরে বড় ভাই চেয়ারম্যান পদে আছেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন দুর্নীতি-অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন। এতে করে বাবার সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এ কারণে আমি চেয়ারম্যান পদে ভোট করছি।’
চতুর্থ ধাপে ৮৪০ ইউনিয়ন পরিষদ ও তিন পৌরসভায় ভোট হবে ২৩ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৬ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ৭ ডিসেম্বর।