বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাপা সভাপতিকে চাকরিচ্যুত করল বিমান

  •    
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১০:১৩

গত ২৮ নভেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২৬৫তম বোর্ড সভায় মাহবুবুরের বিরুদ্ধে বিমানের কার্যক্রম পরিচালনায় বাধা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ক্ষমতা প্রদান করা হয়। এর একদিন পরেই বাপা সভাপতিকে চাকুরিচ্যুত করার চিঠি দেয়া হয়।

বিমানের কার্যক্রম পরিচালনায় বাধা সৃষ্টির অভিযোগে বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমানকে চাকুরিচ্যুত করেছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ।

গত ২৯ নভেম্বর এক চিঠিতে ক্যাপ্টেন মাহবুবকে চাকুরিচ্যুত করা হয়। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে মঙ্গলবার।

গত ২৮ নভেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২৬৫তম বোর্ড সভায় মাহবুবুরের বিরুদ্ধে বিমানের কার্যক্রম পরিচালনায় বাধা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ক্ষমতা প্রদান করা হয়। এর একদিন পরেই বাপা সভাপতিকে চাকুরিচ্যুত করার চিঠি দেয়া হয়।

চাকুরিচ্যুতির চিঠিতে বাপা সভাপতিকে তার সমস্ত পাওনাদি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বুঝে নিতে বলা হয়েছে।

গত বছর দেশে করোনা মহামারি শুরু হলে ব্যয় সংকোচন করতে অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্দিষ্ট হারে পাইলটদেরও বেতন কেটে আসছিল বিমান কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি সিদ্ধান্ত হয়, আগস্ট থেকে কর্মকর্তাদের বেতন আর কাটা হবে না, কিন্তু পাইলটদের ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেনি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি।

মূলত এ কারণে বিমানের পাইলটদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় সম্প্রতি চুক্তির অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা থেকে বিরত থাকেন তারা।

এতে সংকট তৈরি হয় বিমানের মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি ফ্লাইটে। পরে অবশ্য পরিচালনা পর্ষদের আশ্বাসে ফ্লাইটে ফেরেন তারা। তবে এ কর্মসূচির কারণে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

গত ২০ নভেম্বর বিমানের এক অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান। সে সময় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিমান কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দেয়া হয়।

বেতন কাটা নিয়ে বিমান নতুন যে আদেশ জারি করেছে তাতে বলা হয়, বিমানে কর্মরত কর্মকর্তা এবং যেসব ককপিট ক্রুর চাকরির বয়স শূন্য থেকে পাঁচ বছর, জুলাই মাসে তাদের কোনো বেতন কাটা হবে না। তবে যেসব ককপিট ক্রুর চাকরির বয়স ৫ থেকে ১০ বছর, জুলাই মাসে তাদের বেতন থেকে ৫ শতাংশ এবং যারা ১০ বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন তাদের বেতন ২৫ শতাংশ কাটা হবে। এ সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন পাইলটরা।

বিমান ব্যবস্থাপনা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, পাইলটদের মধ্যে যাদের চাকরির বয়স পাঁচ বছরের মধ্যে, স্বাভাবিক সময়ে তাদের বেতন ২ লাখ ৬ হাজার ৮৪ টাকা। যাদের চাকরির বয়স ৫ থেকে ১০ বছর, তারা ওভারসিজ ভাতা হিসেবে অতিরিক্ত পান ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা। এতে তাদের বেতন হয় ৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।

যাদের চাকরির বয়স ১০ থেকে ২০ বছর, তাদের বেতন ওভারসিজ ভাতাসহ ১০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আর যাদের চাকরির বয়স এর চেয়ে বেশি, তারা পান ১২ লাখ এক হাজার টাকা। এ ছাড়া, চুক্তির অতিরিক্ত সময় দায়িত্ব পালন করলে তারা আলাদা করে প্রোডাক্টিভিটি অ্যালাওয়েন্স পান।

আগে পাইলটদের নির্দিষ্ট হারে যে ওভারসিজ ভাতা দেয়া হতো, তা করোনায় আয় কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবর্তন করে বর্তমানে ফ্লাইং ঘণ্টা হিসেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান বোর্ড।

বর্তমানে বিমানে সব মিলিয়ে ১৫৭ জন পাইলট কর্মরত। বাপার সঙ্গে বিমানের চুক্তি অনুযায়ী একজন পাইলটের দৈনিক সর্বোচ্চ ১৩ ঘণ্টা কাজ করার কথা। সপ্তাহে একজন পাইলট কাজ করবেন সর্বোচ্চ ৭৫ ঘণ্টা। এর বাইরেও তিনি সপ্তাহে দুদিন ছুটি পাবেন।

এ বিভাগের আরো খবর