বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাল সনদে ১০ বছর ধরে চাকরি করছেন আদর্শ শিক্ষক

  •    
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৯:১৪

রাণীনগর শের-ই-বাংলা সরকারি কলেজের সভাপতি ও রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, এনটিআরসিএ এর পাঠানো চিঠির কপি আমি পেয়েছি। চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নওগাঁর রাণীনগর শের-ই-বাংলা সরকারি কলেজে প্রভাষক পদে ১০ বছর ধরে চাকরি করছেন মো. নুরুজ্জামান। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন সৎ মানুষ হওয়ার। নিজের পরিচয় দেন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে। কিন্তু তারই শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি জাল।

গত ৮ নভেম্বর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সনদ যাচাই করে এর সত্যতা পেয়েছে।

এনটিআরসি কর্তৃপক্ষ মো. নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে। নুরুজ্জামান কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক।

একাধিক সূত্র জানায়, রাণীনগর শের-ই-বাংলা সরকারি কলেজ সরকারি ঘোষণায় ২০১৯ সালে জাতীয়করণ করা হয়। শিক্ষকদের সনদ যাচাইয়ে নুরুজ্জামানের নিবন্ধন সনদ ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় ৮ নভেম্বর এনটিআরসির সহকারী পরিচালক ফিরোজ আহমেদ স্বাক্ষরিত সনদ যাচাইসংক্রান্ত চিঠি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

এ ছাড়া কলেজের অধ্যক্ষকে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। ভুয়া সনদে চাকরির অপরাধে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে বলা হয়।

এনটিআরসিএর চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ ব্যাচের নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ উল্লেখ থাকা নুরুজ্জামানের নিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের সময় ভুয়া প্রমাণিত হয়। প্রকৃত সনদধারীর নাম মো. সাজেদুল ইসলাম। তিনি নিবন্ধন সনদ গ্রহণে জালিয়াতির আশ্রয় নেন বলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

নুরুজ্জামান ২০১২ সালে ওই কলেজে প্রভাষক পদে নিয়োগ পান এবং ২০১৪ সালে তিনি এমপিওভুক্ত হন।

এ ব্যাপারে নুরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘আমার নিবন্ধন সনদ সঠিক আছে। এনটিআরসিএ এর দেয়া চিঠিতে আমার ও আমার বাবার নাম ঠিক থাকলেও মায়ের নাম ঠিক নেই। আগেও আমার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সঠিকতা পেয়েছেন।’

এ বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পেয়েছি। আগের অধ্যক্ষ নুরুজ্জামানকে কিভাবে নিয়োগ দিয়েছেন, সেটি আমি জানি না।

‘তবে কলেজের সব শিক্ষক ও কর্মচারীর কাগজপত্র কলেজে থাকলেও নুরুজ্জামানের কোনো কাগজপত্র কলেজে নেই। তার কাছে চাওয়া হলে তিনি নিশ্চুপ থাকেন।’

এ বিষয়ে কলেজের সভাপতি ও রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, এনটিআরসিএ এর পাঠানো চিঠির কপি আমি পেয়েছি। চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর