রাজধানীর রামপুরায় অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় শিক্ষার্থী মঈনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়ের মৃত্যুর ঘটনায় বাসটির সুপারভাইজার গোলাম রাব্বী ওরফে রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সায়েদাবাদ এলাকা থেকে র্যাব-৩ তাকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক জানান, সোমবার রাতে রামপুরা বাজার এলাকায় একরামুন্নেসা স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী মাইনুদ্দিনকে অনাবিল পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয়। ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হলে এলাকার লোকজন অনাবিল পরিবহনের বাসটি আটক করে।
বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটির চালককে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ করে। তবে বাসটির সুপারভাইজার ও হেলপার পালিয়ে যান।
তিনি আরও জানান, র্যাব-৩ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সায়েদাবাদ থেকে অনাবিল বাসের সুপারভাইজার গোলাম রাব্বীকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাব্বী দাবি করেছেন, বাসটির অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাস চাপায় একজনের মৃত্যুর বিষয় টের পেয়ে তিনি পালিয়ে যান। এরপর ঢাকার বাইরে আত্মগোপনে যেতে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে র্যাব তাকে ধরে ফেলে।
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর র্যাবের হাতে ধরা পড়েন অনাবিল পরিবহনের হেলপার চান মিয়া। তিনিও স্বীকার করেন, বাসটি বেপরোয়া গতিতে চলছিল বলেই স্কুলছাত্র মঈনুদ্দিন চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়।
সোমবার রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় অনাবিল পরিবহনের একটি বাসের চাপায় ঘটনাস্থলের নিহত হয় শিক্ষার্থী মঈনুদ্দিন। এ ঘটনার পর আশপাশের উত্তেজিত লোকজন ধাওয়া করে বাসটির চালককে ধরে পিটুনি দেন।
ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারানোর পর পুলিশ বাসচালক সোহেল রানাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই ঘটনায় রামপুরায় ১২টি বাসে আগুন-ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে রামপুরা ব্রিজ এলাকায় সড়ক অবরোধ করে স্কুলছাত্র নিহতের ঘটনার বিচার দাবি করে বিক্ষোভ করা হয়। ৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সড়ক অবরোধের পর বেলা ৩টার পর সড়ক ছাড়েন শিক্ষার্থীরা।