খুলনা সোনালী ব্যাংকের পাচঁ কোটি ২৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় ব্যাংকের এজিএমসহ চার জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। তাদের না পাওয়া গেলে মালামাল ক্রোকের আদেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের বিচারক মো: শহিদুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
দুদক আইনজীবী খন্দকার মুজিবর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চার আসামি হলেন নগরীর স্যার ইকবাল রোডে সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন এজিএম (বর্তমানে জিএম অফিসে সংযুক্ত) সুজিত কুমার মন্ডল, গোডাউন কিপার ব্যাংক কর্মকর্তা নূরুল আমিন, সৌরভ ট্রেডাসের মিতা ভট্টাচার্ষ ও তার স্বামী সুজিত কুমার ভট্টাচার্ষ।
মিতা ভট্টাচার্ষ দৌলতপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী।
তিনি জানান, সোনালী ব্যাংক সুজিত কুমার মন্ডল স্যার ইকবাল রোড শাখার এজিএম থাকাকালে সৌরভ ট্রেডার্স নামে এক পাট রপ্তানিকারককে এই টাকা ঋণ দেয়। পাটের বিপরীতে এই টাকা দেয়া হলেও দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মোশারেফ হোসেন তদন্তকালে গোডাউনে কোনো পাট পাননি।
এ ব্যাপারে তদন্ত শেষে সম্প্রতি দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। পর পর তিন দফা তারিখ পার হলেও কেউ আদালতে জামিনের আবেদন করেননি।
দুদকের আইনজীবীর শুনানির পর বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং না পাওয়া গেলে তাদের মালামাল ক্রেকের আদেশ দেন।
এ বিষয়ে মিতা ভাট্টাচার্ষ জানান, আইনজীবীকে তিনি সময়ের আবেদন করতে বলেছেন। তিনি মামলা ও অভিযোগপত্রের কথা স্বীকার করেছেন।
সোনালী ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম জানান, এজিএম সুজিত কুমার মন্ডল জেনারেল ম্যানেজার কার্যালয়ে সংযুক্ত আছেন। চার্জশিট জমার বিষয়টি তারা জানেন না। সুজিত কুমার মন্ডল দীর্ঘদিন ছুটিতে রয়েছেন।